ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট:
এমন হারের পর আসলে অজুহাত দাঁড় করানোর কোন মানে হয়না। তেমনটা করছেনও না সাকিব আল হাসান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের তিক্ত অভিজ্ঞতার পর শনিবার রাতে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘জানতাম কঠিন হবে, তবে এতোটা কঠিন ভাবিনি।’ শুরুতে অ্যান্টিগা টেস্টে ব্যর্থতা। এরপর জ্যামাইকাতেও ব্যাটসম্যানরা কিছুই করতে পারলেন না। সংগত কারণেই হতাশা ছুঁয়ে গেছে টাইগার শিবিরে।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ও ২১৯ রানে। যেখানে টেস্ট ইনিংসে সর্বনিম্ম রানের লজ্জায় ডুবেছিল দল। ৪৩ রানে অলআউটের ম্যাচটা আড়াই দিনে শেষ হয়। আর জ্যামাইকা টেস্টে ১৬৬ রানের হার। তিনদিনে এই টেস্ট হারার পর সাকিব বলেন, ‘দেখুন, জানতাম কঠিন হবে। তবে ভাবতে পারিনি এতটা কঠিন হবে। অনেক জায়গাই আছে, যেসব নিয়ে আমাদের কথা বলতে হবে এবং কাজ করতে হবে। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতেই হবে।।’
প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে টাইগাররা অলআউট হয় মাত্র ৪৩ রানে। পরের ইনিংসে নিজেদের স্কোর টাইগাররা পার করতে পারেনি দেড়শ। দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংসেও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। এমন কী খেলতে পারেনি কমপক্ষে ৫০ ওভারও। ব্যাটসম্যানদের এমন ব্যর্থতায় হতাশ সাকিব। অধিনায়ক বলছিলেন, ‘দেখুন, টেস্ট ম্যাচ যত গড়িয়েছে, আমাদের বোলাররা ভালো করেছে। বিশেষ করে স্পিনাররা বেশ ভালো করেছে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে ৪ ইনিংসেও নিজেদের চেনা চরিত্র ও দৃঢ়তা দেখাতে পারিনি আমরা।’
জ্যামাইকায় দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। নিজের আত্মবিশ্বাস নিয়ে সাকিব বললেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল, দলের কথা বলতে পারি না। তবে দলের ওপর আমার বিশ্বাস ছিল যে আমরা পারব। কয়েকবারই আমরা পেছন থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। বিশ্বাসটা তাই ছিল। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। ওরা দারুণ বোলিং করেছে। আমরা যথেষ্ট ভালো ছিলাম না।’
সামনেই ওয়ানডে সিরিজ। সেখানে এই ধাক্কা সামলে উঠতে চায় বাংলাদেশ।
Discussion about this post