হাসি মুখেই দিনটা শেষ করতে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দিনের শেষ বলে এমন নাটকীয় কিছু একটা ঘটে যাবে কে জানতো? সাজঘরে ফেরার আগে মনোযোগ হারালেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। স্পিনার জাফর আনসারির নিচু হয়ে আসে বল মেরে খেলতে গিয়ে ব্যাটে বলে সংযোগ হল না। বল ভেঙ্গে দিল উইকেট। দিনের শেষ বলে এমন আউটের পরও অবশ্য চালকের আসনেই বাংলাদেশ। কেননা, শনিবার দিন শেষে ৭ উইকেট হাতে রেখে ১২৮ রান লিড নিয়েছে টাইগাররা।
এর আগে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২২০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ১৪৪ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপরই আদিল রশিদ ও ক্রিস ওকস গড়েন ৯৯ রানের জুটি। আর তাতেই ১ম ইনিংসে ২৪৪ রান তোলে ইংল্যান্ড। দল পায় ২৪ রানের লিড। এরপর নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে শনিবার দ্বিতীয় দিন শেষে ৩ উইকেটে ১৫২ রান করে টাইগাররা। ১২৩ রানের লিড নিয়ে সাজঘরে ফিরে।
অবশ্য মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের আউট নিয়ে আক্ষেপ আছে। দিনের শেষ বলে এভাবে এলোমেলো শট না খেললেও পারতেন। ব্যাক্তিগত ৪৭ রানে আনসারির বলে আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। তার আগে কথা বলল তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েসের ব্যাট। আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান তামিম ৪০ রানে। ইমরুল অবশ্য দিন শেষে ৫৯ রানে অপরাজিত আছেন।
তার আগে ১ম ইনিংসেই লিড নিতে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ওকস-রশিদের দুর্দান্ত ব্যাটিং তা হতে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কিছুটা এগিয়ে থেকেই দিনটা শেষ করল টাইগাররা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬৩.৫ ওভারে ২২০/১০ (তামিম ১০৪, ইমরুল ১, মুমিনুল ৬৬, মাহমুদউল্লাহ ১৩, সাকিব ১০, মুশফিক ৪, সাব্বির ০, শুভাগত ৬, মিরাজ ১, তাইজুল ৫*, কামরুল ০; ওকস ৩/৩০, ফিন ০/৩০, মঈন ৫/৫৭, আনসারি ০/৩৬, স্টোকস ২/১৩, রশিদ ০/৪৪)। ও ২য় ইনিংস: ৩১ ওভারে ১৫২/৩ (তামিম ৪০, ইমরুল ৫৯*, মুমিনুল ১, মাহমুদউল্লাহ ৪৭; ফিন ০/১৮, মঈন ০/৩৪, আনসারি ২/৩৩, স্টোকস ১/২০, রশিদ ০/৩০, ওকস ০/১৪)।
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৮১.৩ ওভারে ২৪৪/১০ (কুক ১৪, ডাকেট ৭, রুট ৫৬, ব্যালান্স ৯, মঈন ১০, স্টোকস ০, বেয়ারস্টো ২৪, আনসারি ১৩, ওকস ৪৬, রশিদ ৪৪*, ফিন ০; মিরাজ ৬/৮২, সাকিব ১/৪১, তাইজুল ৩/৬৫, কামরুল ০/১৬, শুভাগত ০/৮, সাব্বির ০/১২)।
# দ্বিতীয় দিন শেষে
Discussion about this post