বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সম্পদ সাকিব আল হাসান আবারও ছুঁয়ে দিলেন অনন্য এক শিখর। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যেই অসংখ্য রেকর্ড নিজের দখলে নিয়েছেন তিনি। এবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ইতিহাস গড়ে খেলাধুলার জগতে আরেকটি মাইলফলক যোগ করলেন এই অলরাউন্ডার।
তিন বছর পর ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) খেলতে নেমেছেন সাকিব আল হাসান। অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসের হয়ে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে বল হাতে নিয়েছেন মাত্র ১১ রানে ৩ উইকেট এবং ব্যাট হাতে খেলেছেন ঝোড়ো ২৫ রানের ইনিংস। তাঁর এই পারফরম্যান্স দলকে এনে দিয়েছে সহজ জয় এবং তাকেও দিয়েছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফিরতি ক্যাচে আউট করেই ছুঁয়ে ফেলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট। পরের ওভারেই কাইল মায়ার্স ও নাভিন বিদাইসিকে আউট করে উইকেট সংখ্যা দাঁড় করালেন ৫০২-তে। এভাবেই প্রথম বাঁহাতি বোলার হিসেবে পৌঁছে গেলেন ৫০০ উইকেটের ঐতিহাসিক মাইলফলকে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৭ হাজার রান এবং ৫০০ উইকেট-এই যুগলবন্দি অর্জন এখন পর্যন্ত একমাত্র ক্রিকেটারের নামেই জুড়ে গেল। ব্যাট-বল দু’দিকেই তাঁর ধারাবাহিকতা তাঁকে বিশ্ব ক্রিকেটে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
বর্তমানে টি-টোয়েন্টিতে সর্বাধিক উইকেট শিকারিদের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন সাকিব। তালিকার শীর্ষে আছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান (৬৬০ উইকেট)। এরপরই রয়েছেন ডোয়াইন ব্রাভো (৬৩১), সুনীল নারাইন (৫৯০) ও ইমরান তাহির (৫৫৪)। তবে এই তালিকায় একমাত্র ব্যাটিং-অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের অনন্য কৃতিত্ব কেবল সাকিবেরই।
মাইলফলক ছোঁয়ার পর সাকিব নিজেও প্রকাশ করেন নিজের অনুভূতি, ‘এই অর্জনের পেছনে অনেক বছরের পরিশ্রম রয়েছে। দলকে সেরাটা দিতে সবসময়ই চেষ্টা করি। সুযোগ পেলে অবদান রাখতে পারলে ভালো লাগে।’
এ সময় পরিবারের উপস্থিতির কথাও উল্লেখ করেন সাকিব। তার ভাষায়, পরিবার পাশে থাকলে চাপ কমে যায় এবং মানসিক স্বস্তি পাওয়া যায়, যা পারফরম্যান্সেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
Discussion about this post