আবুধাবির মাঠে আজ যেন বাংলাদেশের জন্য একটাই মন্ত্র, ‘হারলে সব শেষ’। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নামছে বাংলাদেশ, আর সেটিই এখন একপ্রকার বাঁচা-মরার লড়াই। শুধু সিরিজে টিকে থাকার প্রশ্ন নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ২০২৭ বিশ্বকাপের সরাসরি খেলার সমীকরণও।
প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৫ উইকেটে হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। সিরিজ শুরু হওয়ার আগে লক্ষ্য ছিল স্পষ্ট-র্যাঙ্কিং পয়েন্ট বাড়িয়ে বিশ্বকাপের পথে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু শুরুতেই হোঁচট খেয়ে সেই অঙ্ক এখন আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
বর্তমানে ৭৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান দশে। এক ধাপ ওপরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তাদের পয়েন্ট ৮০। তাই নবম স্থানে উঠতে হলে আফগানিস্তান সিরিজের বাকি দুই ম্যাচেই জেতা বাধ্যতামূলক। এরপর ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয় করলে সরাসরি বিশ্বকাপের পথে নতুন করে শ্বাস নিতে পারবে টাইগাররা।
বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ধারণের শেষ তারিখ ২০২৭ সালের ৩১ মার্চ। সেই সময় সেরা আট দল পাবে সরাসরি টিকিট। তবে আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা স্বাগতিক হিসেবে খেলে ফেললে নবম দলটির জন্যও দরজা খুলে যাবে। সেখানেই বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছে ক্ষীণ এক আশার আলো।
তবে সেই আলো টিকিয়ে রাখতে হলে আজকের ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে যে ব্যাটিং ব্যর্থতা, বিশেষ করে ডট বলের প্রাচুর্য, সেটিই এখন প্রধান উদ্বেগ। ১৬৯টি ডট বল-মোট বলের ৫৬ শতাংশ। এমন অবস্থায় জেতা তো দূরের কথা, লড়াই করাটাই কঠিন।
তানজিম হাসান সাকিবও বিষয়টি খোলাসা করে বলেছেন, ‘আমাদের কোয়ালিফাই খেলাটা মানায় না। এখন থেকে লক্ষ্য স্ট্রাইক রোটেশনে কাজ করা। এত বেশি ডট বল খেললে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্ভব নয়।’
কিন্তু কেবল টেকনিক নয়, মানসিক লড়াইটাও বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হলেও ওয়ানডেতে তারা অন্য দল-অভিজ্ঞ, হিসেবি, শৃঙ্খলাবদ্ধ। এমন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আজ মিরাজদের দরকার নিখুঁত ক্রিকেট।
আজ জিতলে সিরিজ সমতায় ফিরবে বাংলাদেশ, আর সেই সঙ্গে খুলে যাবে বিশ্বকাপের পথটাও। কিন্তু হার মানে শুধু সিরিজ হার নয়, র্যাঙ্কিংয়ে আরও নিচে নামার শঙ্কা এবং কোয়ালিফায়ার খেলতে নামার বাস্তবতা।










Discussion about this post