দীর্ঘ সময় ধরে টেস্টে রান খরা ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর। ২০২৩ সালের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শতরানের পর আর তিন অঙ্ক ছোঁয়া হয়নি। অবশেষে গলে আজ সেই খরা কাটালেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে চাপের মধ্যে দাঁড়িয়ে ২০২ বল মোকাবিলা করে নিজের ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। প্রবাত জয়াসুরিয়ার বলে সুইপ করে ২ রান নিয়ে উদযাপন করেন সেঞ্চুরি।
এটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার দ্বিতীয় শতরান হলেও দলের জন্য তা ছিল আরও বেশি মূল্যবান। কারণ টপ অর্ডারের ধসের সময় শান্তই হয়ে উঠেছিলেন আস্থার প্রতীক। তার ইনিংসে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর পথে বাংলাদেশ।
গলে টেস্টের শুরুটা হয়েছিল ধাক্কা দিয়ে। মাত্র ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার—নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। ধৈর্য, মনঃসংযোগ আর নিখুঁত শট নির্বাচনে তারা ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন দলকে।
অধিনায়ক শান্ত খেলেছেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। ২০২ বল খেলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১১টি চারে ও একটি ছক্কায়।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৯ ওভারে ৩ উইকেটে ২৪৭ রান। শান্ত ১০৪ রানে অপরাজিত, মুশফিকও খুব কাছাকাছি—৯২ রানে ব্যাট করছেন। শুরুটা কঠিন ছিল, কিন্তু এখন গলেই গড়ছে প্রতিরোধের গল্প।
বাংলাদেশ দলে এদিন বেশ কিছু পরিবর্তন ছিল। অসুস্থতার কারণে একাদশে ছিলেন না নিয়মিত অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ—তিন বছরের মধ্যে যেটা তাঁর প্রথম টেস্ট মিস। তাঁর অনুপস্থিতিতে খেলেন চারজন বিশেষজ্ঞ বোলার—তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। চোট কাটিয়ে ফেরা ইবাদত হোসেনও দলে জায়গা পাননি।
শ্রীলঙ্কা দলে অভিষেক হয়েছে দুই ক্রিকেটারের—ব্যাটার লাহিরু উদারা ও ব্যতিক্রমধর্মী দুইহাতি স্পিনার থারিন্দু রাত্নায়াক। এ ম্যাচে আরও একটি বিশেষ মাত্রা যোগ হয়েছে, কারণ এটি শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট।
Discussion about this post