ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
জয় দিয়ে হাসিমুখেই শেষ হলো অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা অধ্যায়। শুক্রবার ছুটির দিনে সিলেটে জিম্বাবুয়েকে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ১২৩ রানে হারয়েছে বাংলাদেশ।
রাতে ম্যাচ শেষ হতেই সবার মধ্যমণি মাশরাফি। জয়ের পর মাশরাফিকে কাঁধে তুলে নেন তামিম ইকবাল। তারপর দেখা মিলল চমক-দলের সবার পরনে মাশরাফির নামে জার্সি!
মাশরাফির নেতৃত্বের শেষ ম্যাচের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি এই জার্সি। সবার জার্সিতে থাকল ‘মাশরাফি’, তার জার্সি নম্বর ‘২।’ জার্সির সামনে লেখা ‘থ্যাঙ্ক ইউ ক্যাপ্টেন।’ এমন চমকে সতীর্থদের এই আয়োজনে চমকে গেলেন মাশরাফিও। তার কণ্ঠে ফুটে উঠল কৃতজ্ঞতা।
বলেন, ‘অনেক বড় সম্মান আমার জন্য। সম্ভবত মাঠেই সবচেয়ে সেরা উপহার পেয়েছি (দলের জয়)। ক্রিকেট বোর্ড, আমাদের ছেলেরা, সবাই ছিল দারুণ। সবাইকে ধন্যবাদ’
সিজিম্বাবুয়েকে শেষ ওয়ানডেতে হারিয়ে দেশের একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে এই ফরম্যাটে ৫০তম জয় পেলেন মাশরাফি। ম্যাচ শেষে বলেন, ‘এটা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। ছেলেরা ছিল অসাধারাণ। তারা দলের জন্য সবকিছু উজাড় করে দিয়েছে। আমি দলের সব ছেলেদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিশেষ করে সাকিবকে, সে যদি এখানে থাকত তাহলে অন্যরকম লাগত। সবাইকে ধন্যবাদ।’ দলের পক্ষ থেকে সবার অটোগ্রাফ ও শুভেচ্ছাসহ একটি জার্সি উপহার দেওয়া হয় মাশরাফিকে।
কাঁধে মাশরাফিকে বহন করে নিয়ে আসা তামিম ইকবাল বলেন, ‘ সে আসলে অবিশ্বাস্য একজন ক্রিকেটার। যখন তিনি ২০১৪ সালে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিলেন তখন আমরা আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে বলতে গেলে কোথাও তেমন ছিলাম না। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালে সেই তিনিই আমাদের বিশ্বমঞ্চের সর্বত্র পৌছে দিলেন। এমনও সময় এসেছিল যখন লোকে আমাকে দল থেকে বাদ দিতে বলতো, আর ঠিক তখনই তিনি আমাকে সবসময় সমর্থন দিয়ে গেছেন।’
২০১৪ থেকে ওয়ানডে দলকে নিয়মিত নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাশরাফি। এরপর নিয়মিত অধিনায়ক হয়ে ৮১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে দলকে এনে দিয়েছেন ৪৭টি জয়। তার নেতৃত্বে সর্বোচ্চ ৫০টি ওয়ানডে ম্যাচে জিতেছে দল।
৩৬ বছর বয়সী মাশরাফির নেতৃত্বে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলে টাইগাররা। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে উঠে সেমি-ফাইনালে। একইভাবে সাফল্য পেয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
Discussion about this post