অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে যখন সেন্ট কিটসের ইনিংসের ১৫তম ওভারে বল হাতে নিলেন সাকিব আল হাসান, তখন অনেকেই জানতেন এক বিশেষ মুহূর্ত আসন্ন। রিজওয়ানকে ফিরতি ক্যাচে আউট করেই ইতিহাস গড়লেন তিনি-টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম বাঁহাতি বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেট। তবে মাঠে নায়কোচিত উল্লাস দেখা গেলেও, ম্যাচ শেষে সাকিবের কণ্ঠে ঝরে পড়ল ভিন্ন এক সুর-শান্ত, পরিণত, দলের প্রতি দায়বদ্ধ।
রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে থেকেও প্রথম পাঁচ ম্যাচে কাঙ্ক্ষিত উইকেট পাননি সাকিব। এ বিষয়ে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথম কয়েক ম্যাচে আমি খুব বেশি বল করার সুযোগ পাইনি। এক-দুই ওভার করে বোলিং করায় মনে হচ্ছিল, হয়তো এ আসরে ৫০০ উইকেট ছোঁয়া কঠিন হয়ে যাবে। তখন ভেতরে ভেতরে একটু হতাশা এসেছিল। কিন্তু আমি জানতাম, ধৈর্য ধরতে হবে।’
অবশেষে ষষ্ঠ ম্যাচেই ৫০০-এর গণ্ডি পার করে ফেললেন সাকিব। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে তিনি বলেন, ‘এটি আমার জন্য দারুণ এক মুহূর্ত। দীর্ঘদিনের কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্যের ফল পেয়েছি। মাইলফলকটা ছোঁয়া সহজ ছিল না। তাই স্বস্তি লাগছে।’
ব্যক্তিগত রেকর্ডে ভাসলেও দলের জন্য অবদান রাখার কথাই বারবার উচ্চারণ করেছেন তিনি, ‘ব্যক্তিগত রেকর্ড সবসময় ভালো লাগে। তবে আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দলের জয়। সুযোগ পেলেই অবদান রাখতে চাই। দলের সাফল্যের সঙ্গেই আসল আনন্দ।’
ক্যারিবিয়ান সফরে সাকিবের সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী ও সন্তানরা। সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরলেন তিনি, ‘পরিবার পাশে থাকলে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যায়। সন্তানরা এখানে আছে, এটি আমার জন্য বড় পাওয়া। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়।’
অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার মনে করেন, তার সাফল্যের পেছনে বছরের পর বছর ধরে করা প্রচেষ্টা ও শৃঙ্খলাই মূল ভূমিকা রেখেছে, ‘অনেক লম্বা ক্যারিয়ার পেরিয়ে আজ এখানে পৌঁছেছি। এখনও আমি শিখছি, চেষ্টা করছি। দলের প্রয়োজনে যখনই ডাক আসবে, আমি অবদান রাখব।’
Discussion about this post