জিততে হলে চাই মাত্র ১৬২ রান। মামুলি এই রান তাড়া করতে নেমে সোমবার বেশ আয়েশেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় বিসিবি নর্থ জোন। টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার খবর শুনে সেই ‘শোধ’ নাইম ইসলাম তুলেছেন ইসলামি ব্যাংক ইষ্ট জোনের বোলারদের ওপর। ১৩ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৭৩ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করে নাইম ইসলাম বিসিবিকে ৭ উইকেটের সহজ জয় এনে দেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে মাত্র ৩১.৩ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৬৭ রান তুলে নেয় বিসিবি নর্থ জোন।
তবে ম্যাচ জয়ের সবচেয়ে বড় প্রভাবকের কাজটা আগেভাগেই সেরে রাখেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও বল হাতে দুর্দান্ত এই বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম ইনিংসে পেয়েছিলেন ৭ উইকেট। দ্বিতীয় দফায় পেলেন ৫ উইকেট। সবমিলিয়ে ১১২ রানে ১২ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা তাইজুল। এটা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। সন্দেহ নেই এই পারফরমেন্স দিয়ে তাইজুল নির্বাচকদের নজর কাড়লেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ইসলামি ব্যাংক ইষ্ট জোন ২৭০ ও ১৩৯। বিসিবি নর্থ জোন ২৪৮ ও ১৬৭/৩। ফল: বিসিবি নর্থ জোন ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা: তাইজুল ইসলাম।
শেষদিন কি তাহলে স্পিনারদের?
হাতে সময় থাকায় বেশ রয়ে সয়েই সামনে বাড়ছে প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোন। ম্যাচ জিততে মঙ্গলবার ম্যাচের শেষদিন করতে হবে আর মাত্র ১৫০ রান। সারাদিন বাকি। হাতে জমা ৭ উইকেট। নিশ্চিতভাবে এই ম্যাচে ফেভারিট প্রাইম ব্যাংক। হিসেব বদলে দিতে হলে ওয়ালটন সাউথ জোনকে আর ম্যাচের সেরা বোলিং করতে হবে।
পারবে তারা?
্সোমবার দুপুরে ৩১০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইমরুল কায়েস ও এনামুল হকের হাফসেঞ্চুরির কল্যানে প্রাইম ব্যাংক শুরুর কাজটা ভালই সেরে নেয়। টেস্ট দলে ফেরার সুখবর পেয়ে ইমরুল সেটা উদযাপন কনে ৯৯ বলে ৭৪ রান করে। আর টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার দুঃখ ভুলতে ১২৬ বলে ৬৭ রানের ধৈর্য্যশীল ইনিংস খেলে জবাব দেন এনামুল।
৭ উইকেট হাতে জমা। রান প্রয়োজন ১৫০। খুব কঠিন কোন টার্গেট নয়। তবে সমস্যা হল-ম্যাচের প্রথম তিনদিন এই উইকেটে স্পিনাররা যেভাবে ব্যাটসম্যানদের নাচিয়েছেন; শেষদিনও কি সেই দৃশ্য? ওয়ালটনকে শেষদিনে আশা দিচ্ছে মাহমুদউল্লাহ ও ইলিয়াস সানির বোলিং। তৃতীয়দিন প্রাইম ব্যাংকের তিন ব্যাটসম্যানই কাটা পড়েছেন ঘুর্নি বলে।
বিকেএসপিতে শেষদিনও কি তাহলে স্পিনারদের?
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন: ১৬৫ ও ৩৭৪। প্রাইম ব্যাংক ২৩০ ও ১৫৯/৩)।
- ক্রিকবিডি ২৪ রিপোর্ট
Discussion about this post