জাতীয় দলের পরিচিত মুখ নন তিনি। মাত্র একটি আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি খেলেছেন। তবে বয়স মাত্র ২৭। সামনে লম্বা ক্যারিয়ার। কিন্তু সেই যাত্রা পথে বাঁধা পেলেন শহিদুল ইসলাম। আইসিসি অ্যান্টি-ডোপিং কোড লঙ্ঘনের দায়ে এই বাংলাদেশি ক্রিকেটার ১০ মাসের জন্য সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন। এই সময় আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া শুধু নয়, সব ধরণেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন না এই ডানহাতি পেসার।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। শহিদুলকে আইসিসি অ্যান্টি-ডোপিং কোডের ধারা ২.১ ধারা লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এই শাস্তি প্রদান করে। ১০ মাস ক্রিকেট-সম্পর্কিত সমস্ত কার্যক্রম থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে তাকে। ২৮ মে ২০২২ থেকে আগামী ২৮ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত ক্রিকেটের সঙ্গে থাকতে পারবেন না শহিদুল।
শহিদুল গত ৪ মার্চ ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক সিরিজের আগে আইসিসির ডোপিং পরীক্ষায় অংশ নেন। সেখানে প্রস্রাবের নমুনা প্রদান করার পর, ডোপ টেস্টে পজিটিভ হন। দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় শাস্তির মেয়াদ কমে ১০ মাস হয়েছে। শহিদুল আইসিসিকে সন্তুষ্ট করতে পারেন যে নিষিদ্ধ পদার্থ ব্যবহার করে খেলাধুলার পারফরম্যান্স বাড়ানোর কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তার।
জানা গেছে, ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শে ডব্লিউএডিএ’র নিষিদ্ধ বস্তুর তালিকায় স্থান পাওয়া ক্লোমিফিন সেবন করেন। তবে একটু সচেতন হলে নিষেধাজ্ঞা থেকে বাঁচতে পারতেন। তিনি বিসিবির ডাক্তারকেও এটি জানান নি! শেষ অব্দি ডোপ পাপে ক্যারিয়ারটাই শঙ্কায় পড়ে গেল তার।
Discussion about this post