ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিলামে কাইল জেমিসনের ভিত্তি মূল্য ছিল ৭৫ লাখ রুপি। কিন্তু দীর্ঘদেহী এই পেসারের জন্য একের পর এক বিড করে তিন দল সেই মূল্য নিয়ে যায় ১৫ কোটি রুপিতে। শেষ পর্যন্ত পাঞ্জাব কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালসকে পেছনে ফেলে তাকে টেনে নেয় রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কিন্তু নিউজিল্যান্ড পেসার জানতেনই না, এ বিশাল অঙ্কের অর্থে কত ডলার হয়। যখন জানতে পেরেছেন রীতিমতো বিস্মিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আইপিএলের নিলাম যখন শুরু হয়, নিউজিল্যান্ডে তখন রাত সাড়ে ১০টা। জেমিসন ভেবেছিলেন, রাতে ঘুমিয়ে খবর নেবেন সকালে। তবে মাঝরাতে উঠে চোখ রাখেন ফোনে। ক্রমেই তার চোখ ছানাবড়া। এত রুপি! নিউজিল্যান্ডের একটি সংবাদমাধ্যমকে এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আসলে এর অনুভূতি অবিশ্বাস্য। ভেবেছিলাম রাতে ঘুমিয়ে যাব। কিন্তু মাঝরাতের দিকে উঠে বসি ও ফোন দেখি। জীবনে আর কখনো এমন হবে কি না জানি না! তাই মনে এলো, পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়ার চেয়ে আলিঙ্গন করি ও উপভোগ করি। ওই ঘণ্টাদেড়েক সময়, নিশ্চিতভাবেই ছিল অদ্ভুত। আমার নিলাম যখন চলছে, শেন বন্ড (নিউ জিল্যান্ডে বোলিং গ্রেট ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং কোচ) আমাকে ম্যাসেজ পাঠায়, ‘এটা (মূল্য) কতটা ভালো হলো?’ আমার আসলে জানা ছিল না, ১৫ কোটি রুপি নিউজিল্যান্ড ডলারে কত হয়। এখনও চেষ্টা করছি ব্যাপারটি হজম করার।’
জেমিসন আরো বলেন, ‘প্রথমে আমার সঙ্গিনী এমাকে ফোন করি। ও ঘুমাচ্ছিল। ঘুম ভাঙিয়ে খবর দেই। তার পর বাবা-মাকে ফোন করি, তারা জেগেই ছিলেন।’
আগেই বোঝা গিয়েছিল জেমিসনকে নিয়ে যে আইপিএলে টানাটানি হবে। তাই বলে দাম বাড়তে বাড়তে এভাবে আকাশ ছোঁবে, সেটা হয়তো জেমিসনের সবচেয়ে বড় শুভানুধ্যায়ীর কল্পনাতেও ছিল না!
আইপিএল ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ দামি ক্রিকেটার জেমিসন। তবে ব্যাপারটি নিয়ে ভাবছেন না তিনি, ‘এটা খুব বদল আনেনি আমার মধ্যে। জানি খুব প্রত্যাশা থাকবে। তবে সেটা তো সবসময়ই থাকে। প্রথম ওয়ানডে, প্রথম টেস্ট, বিভিন্ন সিরিজে, সবসময়ই প্রত্যাশার চাপ থাকে। আমার নিজের ভেতরের চেয়ে হয়তো বাইরের চাপ বেশি থাকবে। আমার জন্য ব্যাপারটি হলো কীভাবে আমি শিখতে পারি, নিজেকে গড়তে পারি, দলের প্রয়োজনের সময় কাজটুকু কতটা করতে পারি।’
Discussion about this post