বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বাদশ আসর শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। হাতে এখনো প্রায় দুই সপ্তাহ সময় থাকলেও এরই মধ্যে দল গঠন ও খেলোয়াড়দের প্রাপ্যতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় দলের তারকা ব্যাটার সৌম্য সরকারকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। পারিবারিক কারণে দেশের বাইরে অবস্থান করায় গুঞ্জন ওঠে, বিপিএলের সিলেট পর্বে নাও থাকতে পারেন তিনি। তবে সেই শঙ্কায় অবশেষে জল পড়েছে।
নোয়াখালী এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, সৌম্য সরকার টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দলের সঙ্গে থাকবেন। পারিবারিক প্রয়োজনে বর্তমানে দেশের বাইরে থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই তিনি দেশে ফিরবেন এবং বিপিএলে অংশ নেবেন। ফলে নোয়াখালী শিবিরে স্বস্তি ফিরেছে।
বিপিএল নিলামের আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো দুজন করে দেশি ক্রিকেটারের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করার সুযোগ পায়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নোয়াখালী এক্সপ্রেস দলে ভেড়ায় পেসার হাসান মাহমুদ ও অভিজ্ঞ ব্যাটার সৌম্য সরকারকে। জাতীয় ক্রিকেট লিগ শেষ করে বিপিএলের প্রস্তুতিও শুরু করেছিলেন সৌম্য। তবে ২০২৪ সালে ফরচুন বরিশালের হয়ে শিরোপা জয়ী এই ক্রিকেটারকে হঠাৎ করেই পারিবারিক কারণে দেশের বাইরে যেতে হয়, যা থেকেই তার বিপিএল অংশগ্রহণ নিয়ে গুঞ্জনের সূত্রপাত।
নোয়াখালী এক্সপ্রেস এবারের বিপিএলে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়েছে। সৌম্য সরকার ও হাসান মাহমুদের পাশাপাশি দলে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনসন চার্লস, শ্রীলঙ্কার কুশল মেন্ডিস, জাতীয় দলের জাকের আলী অনিক, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, হাবিবুর রহমান সোহান এবং অভিজ্ঞ স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। এ ছাড়া বিদেশি কোটায় পাকিস্তানের হায়দার আলি ও আফগান পেসার ইহসানউল্লাহকেও দলে ভিড়িয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।










Discussion about this post