ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
সিডনির মন্থর উইকেটে শুরুতেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। তবে এরপর টাইগারদের শুধু হতাশায় উপহার দিয়েছেন রাইলি রুশো। দ্বিতীয় উইকেটে কুইন্টন ডি কককে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন তিনি। অন্যদিকে ডি ককও দারুণ খেলেন। শেষ পর্যন্ত রুশো তুলে নেন ৫২ বলে দু্দান্ত এক সেঞ্চুরি। ডি কক হাফসেঞ্চুরি করে ফিরলেও প্রোটিয়া ইনিংসে কোন প্রভাব পড়েনি। শেষ পর্যন্ত তারা পাড় বিশাল পুঁজি।
সিডনিতে বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে তুলেছে ২০৫ রান। রুশো করেন ৫৬ বলে ১০৯ রান।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ টসভাগ্য সহায় হয়নি সাকিব আল হাসানের। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
তাসকিন আহমেদ বল হাতে ইনিংসের সূচনা করেন। বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে ধরা পড়েন বাভুমা (২)। দলীয় ২ রানে প্রথম উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। চাপ বাড়াতে পরের ওভারেই অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজকে আক্রমণে নিয়ে আসেন সাকিব আল হাসান। মিরাজ অবশ্য খুব একটা ভালো করতে পারেননি, ওভারে দেন ৮ রান।
কিন্তু দারুণ শুরুর পর ওই ওভারটি ভালো কাটেনি তাসকিনের। টানা দুই নো-বলসহ তিন চার আর এক ছক্কা হজম করে ওভারে দেন ২১ রান। রাইলি রুশো আর কুইন্টন ডি কক রীতিমত ঝড় বইয়ে দিয়েছেন।
কেউই বল হাতে সুবিধা করতে পারছিলেন না। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে রানের গতি কিছুটা কমে প্রোটিয়াদের। ষষ্ঠ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান ৫ রান দেওয়ার পর মোসাদ্দেক হোসেন সপ্তম ওভারে এসে খরচ করেন মাত্র ৩। তার পরের ওভারে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হজম করেও মিরাজ দেন মোটে ৮ রান।
এর মধ্যেই ৩০ বলে ফিফটি তুলে নেন রাইলি রুশো। ১০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার বোর্ডে জমা পড়ে ১ উইকেটে ৯০ রান। ১১তম ওভারে প্রথমবার বল হাতে নিয়ে ২১ দিয়ে বসেন সাকিব।
কোনো কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। অবশেষে ১৫তম ওভারে আফিফ হোসেনকে বোলিংয়ে আনেন সাকিব আল হাসান। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে বিধ্বংসী জুটি ভাঙেন পার্টটাইম অফস্পিনার আফিফ।
এর আগেই অবশ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রেকর্ড জুটি হয়ে গেছে। ৮৫ বলে ১৬৩ রানের জুটিতে ইতিহাস গড়েছেন রাইলি রুশো আর কুইন্টন ডি কক।
৩৮ বলে ৭ চার আর ৩ ছক্কায় ৬৩ রানের ইনিংস খেলা ডি কককে লংঅফে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানান আফিফ। ত্রিস্টান স্টাবসকে ৭ রানের বেশি করতে দেননি সাকিব, তুলে মারতে গিয়ে প্রোটিয়া এই ব্যাটার বাউন্ডারিতে হন ক্যাচ। তবে রুশো টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি। ৫২ বলে তিনি ছুঁয়েছেন তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার। এর আগে নিজের খেলা ইনিংসে ইন্দোরে ভারতের বিপক্ষে ৪৮ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন রুশো।
বিধ্বংসী এই ব্যাটারকে অবশেষে ১৯তম ওভারে ফিরিয়েছেন সাকিব। ডাউন দ্য উইকেট গিয়ে কভারে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছেন রুশো। ৫৬ বলে তার ১০৯ রানের ইনিংসে ছিল ৭ চার আর ৮ ছক্কার মার।
১২ রান দিয়ে ২টি উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান। ৪৬ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট নেন তাসকিন। মোস্তাফিজ উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দেন মোটে ২৫।
Discussion about this post