ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কখনই দ্বিতীয় রাউন্ডে জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। তবে সোমবার এ রাউন্ডে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে টিম টাইগার্স।
হোবার্টে সোমবার নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এদিন টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান। পরে বল হাতে নেদারল্যান্ডসকে ১৩৫ রানে গুটিয়ে দেয় তাসকিন-হাসান মাহমুদরা। ৪ উইকেট নেন তাসকিন।
নেদারল্যান্ডসকে ১৪৫ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে সোমবার শুরু থেকেই বল হাতে চেপে ধরে। প্রথম ওভারের প্রথম দুই বলেই উইকেটের দেখা পান তাসকিন আহমেদ। এরকিছুক্ষণ পর টানা দুটি রানআউটে আরও ব্যাকফুটে চলে যায় ডাচরা। ব্যাটিংয়ের সেই যে কোমর ভেঙেছিল, সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
তবুও চেষ্টা করেছিলেন কলিন অ্যাকারম্যান। তিনি একাই লড়াই করলেন বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে। ৪৮ বলে ৬২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দেন। তার সঙ্গে আর একজন ব্যাটার যদি ৪০-৪৫ রান করতে পারতো, তাহলে বাংলাদেশের জয় পাওয়া সম্ভব হতো না।
অ্যাকারম্যানের দৃঢ়তায় ১৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও ১৩৫ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছে নেদারল্যান্ডস। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ২ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। ১টি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান এবং সৌম্য সরকার। ইনিংসের একেবারে শেষ বলে এসে অলআউট হয়ে যায় ডাচরা। মোস্তাফিজুর রহমান মাত্র ২০ রান দিলেও তিনি কোনো উইকেট নিতে পারেননি। তবে সবচেয়ে কৃপণ ছিলেন হাসান মাহমুদ। ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন কেবল ১৫ রান। সাকিব ছিলেন সবচেয়ে খরুচে। ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন ৩২ রান।
এরআগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার মোটামুটি ভালোই সূচনা এনে দেন বাংলাদেশের। ৪৩ রান করেছিলেন তারা ৫ ওভারে। কিন্তু ৬ষ্ঠ ওভার থেকেই বিপর্যয়ের সূচনা। ৬ষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে বিদায় নেন শান্তও।
এরপর ভরসা যা ছিল লিটন এবং সাকিবের ওপর। কিন্তু এই জুটিও চরম হতাশ করে বাংলাদেশের সমর্থকদের। ৯ম ওভারের চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন লিটন দাস। পরের ওভারেরই প্রথম বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের ওপর অবিশ্বাস্য ক্যাচের শিকার হন সাকিব আল হাসান।
৬৩ রানে পড়ে বাংলাদেশের ৪ উইকেট। এরপরই বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। উইকেট ঢেকে দেয়া হয় ত্রিপল দিয়ে। এ সময় বাংলাদেশের রান ছিল ৯.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান।
বৃষ্টির কারণে ৫ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবার খেলঅ শুরু হয়। এরপর ইয়াসির আলী রাব্বি বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫ বল খেলে মাত্র ৩ রান নিয়ে বিদায় নেন তিনি। নুরুল হাসান সোহান খেলেন ১৮ বলে ১৩ রানের ইনিংস। এক পাশ আগলে রেখে আফিফ হোসেন ধ্রুব খেলে যান কিছুক্ষণ। শেষে তিনিও ২৭ বলে ৩৮ রান করে বিদায় নেন।
তাসকিন আহমেদ আসলেন আর গেলেন। গোল্ডেন ডাক মেরে বিদায় নেন। ১২ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। যে কারণে লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত তার ওপর ভর করে দারুণ এক জয়ই তুলে নেয় টিম টাইগার্স।
Discussion about this post