তিনি ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে চলা এক ক্রিকেটার। একের পর কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু কখনোই হাল ছাড়েন নি। ক্যারিয়ার বাঁচাতে পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে সাতবার। কিন্তু তিনি সব উড়িয়ে ফিরেছেন মাঠের ক্রিকেটে। এবারও লম্বা একটা সময়ের বিরতি উড়িয়ে ফিরলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
মঙ্গলবার ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে (বিপিএল) মিনিস্টার ঢাকার হয়ে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরলেন মাশরাফি। যিনি এখন শুধু ক্রিকেটারই নন, একজন সংসদ সদস্যও। সেই মাশরাফি ৩৮ বছর বয়সে হার না মেনে নামলেন মাঠে।
অবশ্য জাতীয় দলে খেলার সম্ভাবনা আর ইচ্ছে বিলিন হয়েছে আগেই। সেই ২০২০ সালে জাতীয় দল থেকে ছিটকে গেছেন। এরপর মাশরাফি ঘরোয়া ক্রিকেটকেই বেছে নিয়েছেন। তবে এবারের বিরতিটা অনেক দীর্ঘ। এর আগে সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর। বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে জেমকন খুলনার হয়ে দেখা যায় এই পেসারকে।
তারপর সাবেক এই অধিনায়ক নামেননি ২০২১ সালে। তারপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টুয়েন্টি হলেও ফিটনেস ঘাটতিতে নামা হয়নি। এবারের বিপিএলে প্লেয়ার্স ড্রাফটে মিনিস্টার ঢাকা দলে নেয় তাকে। তবে শুরুতে নামা হয়নি। ফিটনেস ট্রেনিংয়ের সময় টান লাগে পিঠে। তারপর ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা করলেও গ্লুটসের চোট। এজন্য বিপিএলে ঢাকার প্রথম তিন ম্যাচে দেখা যায়নি তাকে।
এর আগে চোটের কারণে ২০০১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪০৮ দিনের বিরতি ছিল মাশরাফির। এবার ৪০২ দিন।
Discussion about this post