তেলুগুভাষী চলচ্চিত্র অভিনেতা তিনি। দক্ষিণী সিনেমার পর্দায় ঝড় তুলছেন অনেক দিন ধরেই। সেই আল্লু অর্জুন ফের আলোচনায়। হালে তার অভিনীত একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে- পুষ্পা দ্য রেইস নামে। যা কীনা ব্লকবাস্টার হিট! এই সিনেমাটিতে বেশ সাহসী চরিত্রে দেখা গেছে আল্লুকে। পুষ্পা চরিত্রটিকে নিয়ে গেছেন অন্য এক মাত্রায়। পুষ্পা চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসে। লড়তে জানে। আর দর্শকরাও বেশ নিয়েছেন এই ছবি। যেখানে তার কিছু অঙ্গভঙ্গি তো সুপার হিট।
পুস্পা চরিত্রটা বেশ মনে ধরেছে নাজমুল ইসলাম অপুর। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল সিলেট সানরাইর্জাসের বাঁহাতি স্পিনার তিনি। বিপিএলে উইকেট পেতেই পুষ্পার মতো আইকনিক সেই ‘সিগনেচার’ উদযাপন করছেন অপু।
মঙ্গলবার মিরপুরে মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান অপু। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে তিনি সিলেট সানরাইজার্স ৭ উইকেটে জেতালেন। আর ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন নিজের পুষ্পা হয়ে উঠার রহস্য। ভিডিও বার্তায় অপু বলেন, ‘আসলে পুষ্পা মুভিটা দেখেছিলাম। ওটাতে নায়ক পুষ্পা সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন। খুব ভালো লেগেছে এই জিনিসটা। এজন্য আমিও চিন্তা করলাম- হ্যাঁ, চ্যালেঞ্জ নেওয়া উচিৎ।’
ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা তিনিই। এক সময় নাগিন ড্যান্স দিয়ে আলোচনায় আসা সেই অপু বলছিলেন, ‘আল্লাহ এত বড় সম্মান দান করেছেন, শুকরিয়া আদায় করছি। এবারের এনসিএলেও আমি সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলাম। সেখান থেকেই ভালো কনফিডেন্স ছিল। প্রথম ম্যাচ থেকেই স্টাম্প টু স্টাম্প বল করার চেষ্টা করছি। উইকেটে অনেক সহায়তা ছিল। অধিনায়কও বলে দিচ্ছিল কি কি করা উচিৎ। আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে।’
সব মিলিয়ে মাশরাফির ৪০২ দিন পর ফেরার ম্যাচটাতে আলো ছড়ালেন অপু। না ভুল হলো পুস্পা, ঢাকার মাঠের আল্লু অর্জুন!
Discussion about this post