সেঞ্চুরি বা উইকেট শিকারের গল্প নয়-রোববার বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথমদিনের প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে রইল নাসির হোসেনের ৯৯!
আরেকটু পরিস্কার করে বললে-৯৯ রান আউট!
রান আউট সব সময়ে দুঃখজনক। আর সেটা যদি হয় সেঞ্চুরি থেকে ১ রানে দুরে থাকতে-তাহলে সেই দুঃখ আরও বেড়ে যায়। বিসিএলের প্রথমদিনটা শেষ হল নাসিরের সেই দুঃখ নিয়ে।
তার দল বিসিবি নর্থ জোন দিন শেষে ৮ উইকেটে ৩৩১ রানের বড় স্কোর গড়েছে। আর এই স্কোরে সবচেয়ে বড় অবদান নাসির হোসেনের। বিকেএসপিতে টসে জিতে প্রাইম জোন সাউথ জোন বোলিং বেছে নেয়। সাউথ জোনের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। পেসার রবিউল ইসলাম শিবলু ম্যাচের শুরুতেই বিসিবি নর্থ জোনকে নড়িয়ে দেন। রোববার সকালে ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকীকে বিদায় করেন শূণ্য রানে। মিডলঅর্ডারে ফরহাদ হোসেন ও নাইম ইসলামের মুল্যবান উইকেটও তুলে নেন রবিউল। ফরহাদ যেভাবে ব্যাট করছিলেন তাতে সেঞ্চুরিটা তারও পাওনা ছিল। কিন্তু ৭৬ রানে রবিউলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। ১৩৭ রানে প্রথম পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোন। দলের বিপদে হাল ধরেন নাসির হোসেন। অলরাউন্ডার ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে জুটি বেধে দলের স্কোর তিনশ’র ঘরে পৌছে দেন নাসির। সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দুরে থাকতে শুভগত হোমের থ্রোতে রান আউট হয়ে ফিরেন নাসির। বোলার সৌম্য সরকারের বল পয়েন্ট বাউন্ডারিতে ঠেলে দৌড় দেন নাসির। কিন্তু মাঝপথে এসেই শুনেন অপরপ্রান্ত থেকে ব্যাটসম্যান ফরহাদ রেজা ইয়েস নো, ইয়েস নো করছেন। দ্বিধায় পড়েন নাসির। রানের গতি খানিকটা কমে যায়। এই ফাঁকে শুভগত হোম বল কুড়িয়ে বোলিং এন্ডে ফেরত পাঠান। নাসির ডাইভ দিয়েও রক্ষা পাননি। রানআউট। তাও আবার ৯৯ রানে!
ফরহাদ রেজা অপরাজিত ৭৬ রান নিয়ে দিন শেষ করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথমদিন শেষে) : বিসিবি নর্থ জোন ১ম ইনিঃ(৩৩১/৮ (৯০ ওভারে, জহুরুল ৩২, জুনায়েদ ০, ফরহাদ হোসেন ৭৬, নাইম ২৪, মুশফিক ০, নাসির ৯৯, সাব্বির ৮, ফরহাদ রেজা ৭৬*, রবিউল ৩/৩৫, রাজ্জাক ২/৮৬)।
- ক্রিকবিডি২৪ রিপোর্ট
Discussion about this post