কথায় আছে সময় আর নদীর স্রোত কারোর জন্য অপেক্ষা করে না! কখন যে কেটে গেল ১৩টি বছর! চোখের পলকে যেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার পথচলা ২০০৫ সালের এই দিনে মানে ২৬ মে! লর্ডসের ময়দানে ছোট্ট সেই মুশফিক চমকে দিয়েছিলেন! এখনো একইভাবে দেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারটি হয়েই আছেন ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
লর্ডসের সেই অভিষেক সফরে তিনি দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে ৬৩ এবং অপরাজিত ১১৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তারপরই ১৮ বছরের সেই মুশফিককে প্রথম টেস্টে ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মাঠে নামার সুযোগ করে দেয় টিম ম্যানেজম্যান্ট। তবে দুই ইনিংস মিলে রান তুলেন মাত্র ২৯ (২০ ও ৯)। এ কারণেই বাদ পড়েন দ্বিতীয় টেস্টের একাদশ থেকে। এরপর আবারো বাটে ঝলক দেখিয়ে ফিরেছেন জাতীয় দলে। এখন হয়ে উঠেছেন অপরিহার্য সদস্য। উইকেট কিপিং আর ব্যাটিংয়ে নিজের জায়গা পোক্ত করে নিয়েছেন।
এরমধ্যে ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেস্টে অনেক সাফল্য পেয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, শ্রীলংকার মত পরাশক্তিদের হারানোর তৃপ্তি সঙ্গে উঠে আসে আলোচনায়। একইভাবে প্রথমবারের মতো খেলেছে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে। ৩৭টি ওয়ানডে, ৩৪টি টেস্ট আর ২৩টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেন মুশফিক।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩ বছরের এই পথচলা নিয়ে ফেসবুকে নিজের অফিসিয়াল পেইজে লিখেছেন মুশফিক। অনেকটাই আপ্লুত তিনি। বলেন, ‘সত্যিই বিশ্বাস করতে পারছি না যে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম মাঠে নামার ১৩ বছর হয়ে গেল। সময় কিভাবে চলে যায়! এ দিনটা আমাকে সবসময় মনে করিয়ে দেয় আমি কতটা ভাগ্যবান যে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দিতে পারি। সবকিছুর জন্য শুকরিয়া। সর্বশক্তিমান পবিত্র রমজান মাসে সব দোয়া কবুল করে থাকেন। তাই সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন দয়া করে। সবার জন্য ভালোবাসা।’
১৩ বছরে ৬০টি টেস্ট খেলেছেন মুশফিক। দেশের ইতিহাসের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান তিনিই। মোট ৫টি সেঞ্চুরিতে তার রান ৩,৬৩৬। ১৮৪ ওয়ানডে ম্যাচে করেছেন ৪৭১৮ রান। সেঞ্চুরি ৫টি। টি-টুয়েন্টিতে টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮টি ম্যাচ খেলে করেছেন ১০১২ রান।
Discussion about this post