আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে গড়তে পারেনি ব্ড় স্কোর। টাইগাররা ২২১ রানে অলআউট হয়। দলের শুরুটা কিছুটা স্বপ্নময় মনে হলেও শেষ পর্যন্ত বড় সংগ্রহ গড়ে তুলতে পারেনি টাইগাররা।
বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি তানজিদ হাসান তামিম ও সাইফ হাসানের মধ্যে রান আসে মাত্র ১৮। তানজিদ ১০ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন, নাজমুল হোসেন শান্তও মাত্র ৫ বল খেলে ২ রান করে আউট হন। সাইফ কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ৩৭ বলে ২৬ রান করে ফিরে যান।
এরপর ক্রিজে যোগ দেন তাওহিদ হৃদয় এবং অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। তারা চতুর্থ উইকেটে ১০১ রানের জুটি গড়ে দলের ইনিংসকে সামাল দেন। হৃদয় ৮৫ বলে ৫৬ এবং মিরাজ ৮৭ বলে ৬০ রান করে বিদায় নেন। তাদের বিদায়ের পরই ইনিংস ভেঙে পড়ে।
শেষ ছয় উইকেটে মাত্র ৪৬ রান যোগ হয়। জাকের আলী অনিক ১০, নুরুল হাসান সোহান ৭, তানজিম সাকিব ১৭ এবং তানভীর ইসলাম ১১ রান করে আউট হন। তানভীর আহমেদ শেষ পর্যন্ত ২৩ রান যোগ করলেও তা যথেষ্ট হয়নি। ৪৮.৫ ওভারে বাংলাদেশের ইনিংস ২২১ রানে শেষ হয়।
আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের যে পিচে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের ইনিংস, কিন্তু শুরু থেকেই চিত্রটা স্বাভাবিক হয়নি। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। ওপেনিংয়ে নেমে শুরু হয় তানজিদ হাসান তামিম ও সাইফ হাসানের জুটি, কিন্তু মাত্র ১৮ রানের মধ্যে ফেরেন তানজিদ। নাজমুল হোসেন শান্তও দ্রুত ফিরে যান, ৫ বল খেলে যোগ করেন মাত্র ২ রান।
এরপর কিছুটা স্থিতি আসে সাইফ ও তাওহিদ হৃদয়ের জুটিতে। ৩৭ বলে ২৬ রান করে সাইফ বিদায় নিলেও, হৃদয় ও মিরাজ দুইজনের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে দল আবার প্রাণ ফিরে পায়। তারা চতুর্থ উইকেটে গড়ে তোলেন ১০১ রানের জুটি, দুজনই পূর্ণ ফিফটি করেন। ৮৫ বলে ৫৬ রান করে বিদায় নেন হৃদয়, মিরাজ ৮৭ বলে ৬০ রান করে ফিরে যান কিছুক্ষণ পর।
তাদের বিদায়ের পর যেন বাংলাদেশের ইনিংস ভেঙে পড়ে। আর শেষ ছয় উইকেটে আসে মাত্র ৪৬ রান। জাকের আলী, নুরুল হাসান সোহান, তানজিম সাকিব ও তানভীর ইসলাম-কেউই বড় অবদান রাখতে পারেননি। তানভীর আহমেদ ২৩ রানের জন্য চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত দলের ইনিংস থেমেছে ২২১ রানে।
আফগানিস্তানের বোলাররা যথাযথ প্রতিক্রিয়া দেখান। রশিদ খান ও আজমাতুল্লাহ ওমারজাই নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট, গাজানফার পেয়েছেন দুটি। রশিদ মিরাজকে আউট করে ওয়ানডে ক্রিকেটে দুইশ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন-অফিশিয়াল রেকর্ডে এটি আফগানিস্তানের প্রথম বোলারের অর্জন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভারে ২২১ (সাইফ ২৬, তানজিম ১০, শান্ত ২, হৃদয় ৫৬, মিরাজ ৬০, জাকের ১০, সোহান ৭, সাকিব ১৭, হাসান ৫, তাসকিন ৪*, তানভির ১১; বাশির ৪-০-২৫-০, ওমারজাই ৯-০-৪০-৩, গাজানফার ৯.১-১-৫৫-৩, খারোটে ১০-১-৩২-১, রশিদ ১০-০-৩২-৩, নবী ৬-০-২৭-০)
Discussion about this post