বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন ভাসছিল বাতাসে তবে কি রাজনীতিতে নাম লেখাবেন সাকিব আল হাসান? এনিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও এবার আরো রহস্য রাখলেন তিনি। ভারতের সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর সঙ্গে তিনি জানালেন, রাজনীতিতে আসা নিয়ে এখনো কিছু ভাবেননি। তবে সেই জগতে পা রাখার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেননি বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
নিদাহাস ট্রফির আগে পুরো পরিবার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছিলেন সাকিব। ত্রিদেশীয় এই টুর্নামেন্ট শেষে নিমন্ত্রন পান রাষ্ট্রপতির। এরপরই গুঞ্জন ভাসতে থাকে ক্রিকেট ছাড়ার পর সাকিব কি রাজনীতিতে আসবেন? এবার এনিয়ে সাকিব বলেন, ‘দেখুন, ভবিষ্যৎ নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। আমি বর্তমান নিয়েই থাকতে চাই। কিন্তু কোনো কিছুই উড়িয়ে দিচ্ছি না। এ ব্যাপারে (রাজনীতি) এখনো ভাবিনি, তাই এটা নিয়ে এখন কথা বলাও কঠিন। ক্রিকেট আমার জীবন এবং মনোযোগটা শুধু এখানেই (ক্রিকেট) থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রীর অফিশিয়াল বাসভবন গণভবনে যাওয়া নিয়ে সাকিব বলেন, ‘এটা ছিল সৌজন্যসাক্ষাৎ। তিনি ক্রিকেট খুব পছন্দ করেন আর খেলোয়াড়দের সব সময় উৎসাহ দেন।’
আইপিএল খেলতে সাকিব এখন ভারতে অবস্থান করছেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলে যাচ্ছেন তিনি। শনিবার কলকাতার বিপক্ষে নিয়েছেন দুটি উইকেট।
এমনিতে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়াটা ক্রিকেটবিশ্বে নতুন নয়। পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ইমরান খান, ভারতের শচীন টেন্ডুলকার, শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়াসুরিয়া, রানাতুঙ্গা আর বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিয়ানক নাঈমুর রহমান দুর্জয় ক্যারিয়ার শেষে এসেছেন রাজনীতিতে।
Discussion about this post