ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
অথচ এই সফরে তার যাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছিল শঙ্কা! স্ত্রী অসুস্থ। অবস্থাটা খুব খারাপই ছিল। এ অবস্থায় কী দুর দেশে গিয়ে খেলা যায়? তাইতো তার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর নিয়ে ছড়িয়েছিল অনিশ্চয়তা। শেষ পর্যন্ত স্ত্রীই তাকে সফরে যেতে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। আর মাশরাফি বিন মর্তুজার উপস্থিতিতেই পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। টেস্ট সিরিজে ধুকতে থাকা দলটাই উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে তুলে নিয়েছে ৪৮ রানের জয়।
কিভাবে একটা দল হোয়াইটওয়াশের দুঃস্বপ্ন ভুলে ঘুরে দাঁড়াল? বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বলছিলেন, ‘আমি দলের সবাইকে বলেছি, হৃদয় উজাড় করে খেলো। দেশের জন্য খেলো। টেস্টে যা হয়েছে, তা তো হয়েই গেছে। এটা নতুন সিরিজ। শুরুটা ভালো করতে পারলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। ছেলেরা ঠিক পথেই এগিয়েছে। আশা করি এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারবো আমরা।’
তামিম ইকবালের সেঞ্চুরি, সাকিব আল হাসানের ৯৭ রানে দল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তুলে ২৭৯ রান। মুশফিক শেষ মুহুর্তে নেমে ১১ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন।
এই পুঁজি নিয়ে গায়ানার মাঠে আশাবাদী ছিলেন মাশরাফি। রোববার ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম, শুরুতে ভালো বোলিং করলে ২৮০ রান তাড়া করা কঠিন। আমাদের চাওয়া ছিল ক্রিস গেইল ও লুইসকে দ্রুত ফেরানো। এই চেস্টায় আমরা সফল।’
ম্যাচ শুধু দারুণ নেতৃত্বই নয়, বল হাতে নিজেও আগুণ ঝরিয়েছেন মাশরাফি। নিয়েছেন ৪ উইকেট।
তবে ম্যাচসেরা তামিম ইকবাল। ভিন্ন মেজাজে রোববার দেখা গেছে টাইগার ওপেনারকে। ১৪৬ বলে করেন সেঞ্চুরি,। যা কীনা বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের মন্থরতম। শেষ পর্যন্ত ১৬০ বল খেলে করেন ১৩০!
সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ২য় উইকেটে গড়েন ২০৭ রানের জুটি। নিজের ইনিংস নিয়ে তামিম বলছিলেন, ‘গায়ানায় যখন আমরা ব্যাটিংয়ে নামি, উইকেট খুব সহজ ছিল না। শক্ত অবস্থানে যেতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। ২৫ ওভার পর্যন্ত উইকেট খুবই কঠিন ছিল। বল টার্ন করেছে। পেসারদের জন্যও সহায়ক ছিল।’
তামিম ম্যাচ শেষে মাশরাফির প্রশংসাও করলেন। তিনি বলেন, ‘বোলিংয়ে বরবারের মতো মাশরাফি ছিলেন দুর্দান্ত। আর অধিনায়কত্বও ছিল অসাধারন। সবিকছু মিলিয়ে যা করতে চেয়েছি, তাই হয়েছে।’
Discussion about this post