এমন জানলে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার প্রস্তাবটাই হয়তো দিতো না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)! কারণ দুই দিনের এই ম্যাচ থেকে যে সত্যিকার অর্থে কিছুই পায় নি টাইগাররা। বরং দেখা মিলল অশনি সংকেত। ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ। একইসঙ্গে ব্যর্থ বোলাররাও। অান্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনভিজ্ঞ ভারত ‘এ’ দলের কাছে অনেক কিছুই শিখল মুশফিকুর রহীমের দল। ম্যাচে তিন সেঞ্চুরি পেয়েছে স্বাগতিকরা।
সোমবার শ্রেয়াস আইয়ার, প্রিয়ানক পাঞ্চাল অার আট নম্বরে নেমে বিজয় শঙ্করের ব্যাটেও শতরান! ৯০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৪৬১ রান করে ১ম ইনিংস ঘোষণা করে তারা। ২৩৭ রানের বিশাল লিড।
নিয়ম অনুযায়ী এক ইনিংস করেই ব্যাট করার কথা ছিল দুই দলের। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচ বলেই হয়তো নিয়ম পাল্টে চা বিরতির পর বাংলাদেশ ফের ব্যাট করতে নামে। দিন শেষে ২য় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ১৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে করে ৭৩ রান। হায়দ্রাবাদের সিকান্দাবাদের জিমখানা গ্রাউন্ডে এই ম্যাচের ফলাফলে লেখা থাকবে- ড্র। কিন্তু সত্যিকার অর্থে হারই হয়েছে মুশফিকদের!
প্রিয়ানক পাঞ্চাল এবং শ্রেয়াস আইয়ার ভারত ‘এ’ দলকে লিড এনে দেন। শ্রেয়াস ৯১ বলে করেন শতরান। তারপরই অবসর নেন। যাতে ছিল ১২ বাউন্ডারি, ৪ ছক্কা!
প্রিয়ানক ১৪৮ বলে ১০৩ রান করে রিটায়ার্ট হাট। ইনিংসে ছিল এক ছক্কা, ১১ বাউন্ডারি।
আট নম্বরে নেমে বিজয় শঙ্করের শতরান করে বাংলাদেশের বোলিং দৈনতার চিত্র ফুটিয়ে তুলেন ৮১ বলে অপরাজিত ১০৩ করেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে শুভাশিষ, তাইজুল দু’জনই নেন ৩টি করে উইকেট।
৯ ফেব্রুয়ারি টেস্টের আগে ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে বোলাররাও বেশি দুশ্চিন্তায় ফেলে দিলেন।কিছুই করতে পারলেন না তারা। কে জানে বিরাট কোহলিদের বিপক্ষে না জানি কী অপেক্ষা করছে! সেই লড়াই শুরু ৯ ফেব্রুয়ারি!
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৬৭ ওভারে ২২৪/৮ (ইনিংস ঘোষণা) (তামিম ১৩, ইমরুল ৪, সৌম্য ৫২, মুমিনুল ৫, মাহমুদউল্লাহ ২৩, মুশফিক ৫৮, সাব্বির ৩৩, লিটন ২৩*, মিরাজ ০, তাইজুল ৪* মিলিন্দ ১/২৬, অনিকেত ৪/২৬, বিজয় ১/৩২, নাদিম ১/৩৮, কুলদিপ ১/৩২)। ও ২য় ইনিংস ১৫ ওভারে ৭৩/২ (তামিম অপরাজিত ৪২, সৌম্য ২৫, মুমিনুল ০, মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ১)।
ভারত ‘এ’ ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ৪৬১/৮ (ইনিংস ঘোষণা) (পাঞ্চাল ১০৩*, শ্রেয়াস ১০০*, শঙ্কর ১০৩*, সাইনি ৬৬;; শফিউল ০/৫০, আবু জায়েদ ০/৭২, শুভাশীষ ৩/৫৭, মিরাজ ০/৯২, তাইজুল ৩/১৪১, সৌম্য ০/১৩, মাহমুদউল্লাহ ০/২৪, মুমিনুল ০/৭)।
ফল: ড্র।
Discussion about this post