ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
এখন মাঠের বাইরেই থাকার কথা ছিল তার। নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আসছে অক্টোবরে। করোনাভাইরাসের কারণে অবশ্য বাংলাদেশও মাঠের বাইরে। একের পর এক সিরিজ স্থগিত। এ অবস্থায় পরিবারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। জুয়াড়িদের প্রস্তাব গোপন রাখার পর এই যে নিষেধাজ্ঞা তাতে অনেক কিছুই পাল্টে গেছে তার। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ভাবনার বাঁকও বদলে গেছে।
বছর খানেক আগেই পরিকল্পনা করছিলেন খুব বেশিদিন ক্রিকেট খেলবেন না। বছর দুয়েক খেলে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছে ছিল। কিন্তু এক বছরের নিষেধাজ্ঞা বদলে দিয়েছে অবসর ভাবনা। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষে আরও কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচ বছর খেলতে সাকিব।
বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের বয়স হতে যাচ্ছে ১৪ বছর। বয়স এখন ৩৩। এ অবস্থায় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, ‘দেখুন, আরও কিছু বছর বাকি আছে আমার। এই এক বছর আমার আশা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে যে আরও লম্বা সময় আমি খেলতে পারব। পরিবার ও অন্য সবকিছু মিলিয়ে একটা সময় আমি ভাবছিলাম, হয়তো আর বছর দুয়েক খেলব। কিন্তু এক বছরের নিষেধাজ্ঞার পর আর বিশ্বকাপে যেমন খেলেছি, তার পর আমার মনে হল-আরও বেশিদিন খেলতে পারি আমি।’
সাকিব আরও যোগ করেন. ‘এখন আমি যা ভাবছি, অন্তত আরও ৩ থেকে ৫ বছর যেতে পারি। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে পারফরম্যান্স ও ফিটনেসের ওপর। এই দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। তবে যতদিন উপভোগ করছি, খেলে যাব। যখন অনুভব করব যে উপভোগ করছি না তখনই সরে দাঁড়াবো।’
নিষেধাজ্ঞা অনেক পাল্টে দিয়েছে তাকে। হার্শার সঙ্গে আরও বলেন, ‘দেখুন আগে আমি দেশের আমার নিজের আর পরিবারের জন্য খেলতাম। এখন একটি কথাই ভাবি- সমর্থকদের প্রতিদান কীভাবে দেব। গত ১২-১৫ বছর যে মানুষগুলি আমাকে সমর্থন দিয়ে আসছেন আর আমার এই কান্ডে তারা যেভাবে হতাশ হয়েছে, কীভাবে তাদের প্রতিদান দিতে পারি।এই ভাবনাটা মাথায় থাকে সব সময়।’
Discussion about this post