ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
দু’জনেরই সময়টা ভাল যাচ্ছিল না! একজন তো ছুটি নিয়ে ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন। অন্যজন লড়ছিলেন ইনজুরির সঙ্গে। স্বস্তির খবর-ভারতের বিপক্ষে নভেম্বরে লড়াইয়ের আগে ঘুরে দাঁড়ালেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম পর্বের ম্যাচে অবশ্য কিছুটা আক্ষেপ থাকল তামিমের। ছুটি শেষে ফিরে প্রথম ইনিংসে রান পান নি। দ্বিতীয় ইনিংসে বড় স্কোর স্বপ্ন দেখিয়ে ফেরেন ৪৬ রানে। তবে বল হাতে চমক দেখালেন মাহমুদউল্লাহ।
তবে ম্যাচে ছিলনা নাটকীয়তা। ড্র হয়েছে জাতীয় লিগের দ্বিতীয় স্তরে চট্টগ্রাম ও ঢাকা মেট্রোর ম্যাচটি।
রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচের শেষ দিনে তামিম ৪ রানের জন্য ফিফটি করতে পারলেন না। আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে হতাশ ছিলেন তিনি। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দিলেও তামিমের দাবি ব্যাটে লেগেছে বল।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে ও একমাত্র ইনিংসে ৬৩ রান করে ম্যাচেরা সেরা মাহমুদউল্লাহ। ড্র ম্যাচ শেষে আত্মবিশ্বাসী এই ক্রিকেটার জানাচ্ছিলেন, ‘আমার কাঁধের ইনজুরি ছিল, ৭ মাসের মতো আমি বোলিং করতে পারিনি। এ কারণেই উদগ্রীব ছিলাম কিছু ওভার বল করতে। আলহামদুলিল্লাহ সেটি করতে পেরেছি। আমার বোলিং প্র্যাকটিসটাও ভালো হলো। বোলিং আমি সবসময় করতে চাই। আমি মনে করি, এটা আমাকে বাড়তি সুবিধা বা বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেয় ব্যাটিংয়ে।’
লিগে মাহমুদউল্লাহদের পরের ম্যাচ বৃহস্পতিবার থেকে। প্রতিপক্ষ সিলেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ২৯০/১০
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৩৪৯/৭) ১২৬.৪ ওভারে ৩৫৪ (মার্শাল ২১, জাবিদ ৮৫, শহিদুল ৮৩, মেহরাব ০; নোমান ২৫.৪-১-৭১-২, রনি ২৬-৫-৬২-১, মেহেদি ২৩-৬-৬০-২, আফ্রিদি ৩০-৩-১০৩-৩, মাসুম ১৪-০-৩৮-১, মুমিনুল ৮-২-১১-০)।
চট্টগ্রাম ২য় ইনিংস: ৭৬ ওভারে ২২৭/৫ ( তামিম ৪৬, পিনাক ৫৭, মুমিনুল ০, তাসামুল ৫৩, মাহিদুল ০, মাসুম ৬১*, সাদিকুর ১* ; শহিদুল ১০-৫-২১-০, আল আমিন ১৪-২-৩৯-১, সানি ১৯-১-৭৪-১, মাহমুদউল্লাহ ১৩-৩-২৫-৩ , শামসুর ৫-১-১৬-০, মেহরাব ১১-২-৩৭-০, সাদমান ৩-০-৬-০, জাবিদ ১-০-৩-০)।
ফল: ম্যাচ ড্র
ম্যাচসেরা: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
Discussion about this post