নিম্ম আর মধ্যবিত্ত পরিবারে কোন সন্তান জন্ম নিলেই হল-তাদের ঘিরে থাকে সেই চেনা স্বপ্নের ছক! ছেলে বড় হলে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হবে। এভাবেই চলে পরিচর্যা। সেই সমাজে থেকেও ছোটবেলায় ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হয়ে উঠার চিন্তা সাকিব আল হাসানের মগজে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়নি। এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপএল) সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। দলটির ওয়েবসাইটে নিজের ক্রিকেটার হয়ে ওঠার গল্পের সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতি ও আইপিএল নিয়ে কথা বলেছেন সাকিব।
ক্রিকেটার হয়ে উঠা প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘ছোট এক শহরের মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছি। জন্মের পর থেকে আমরা চিন্তা করি আমাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে ভালো ক্যারিয়ারের জন্য। হতে হবে সরকারি চাকুরিজীবি, ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার- স্বাভাকিভাবে এসবই স্বপ্ন থাকে সবার। তবে আমার মনের মধ্যে অন্যকিছু ছিল।’ এই লড়াইয়ে পরিবারকেও পাশে পেয়েছেন তিনি। এই অলরাউন্ডার জানান, ‘নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি, কারণ আমার বাবা-মা আমার স্বপ্নের মধ্যেই থাকতে দিয়েছেন। এজন্য তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ, কারণ তাদের সমর্থন ছাড়া আমি ক্রিকেট খেলা শুরু করতে পারতাম না। কৃতিত্ব পাবেন আমার শিক্ষকরাও।’
ছয় বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলে এবার হায়দরাবাদে। দলটিও আছে টেবিলের দুইয়ে। এনিয়ে খুশি সাকিব। বললেন, ‘অবশ্যই আমি ভীষণ খুশি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অংশ হতে পেরে। এই পারফরম্যান্সের অনেকটাই কৃতিত্ব কোচিং স্টাফদের।’
একইভাবে ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতেও মুগ্ধ সাকিব। যেমনটা জানালেন, ‘ভারতীয় সংস্কৃতি আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দের। প্রত্যেক প্রদেশে আলাদা আলাদা সংস্কৃতি। আমাকে আলাদা আলাদা জায়গা ও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হচ্ছে এবং অনেক নতুন কিছু সম্পর্কে জানতে পারছি। আপনি হায়দরাবাদে গেলে এক রকম পরিবেশ পাবেন, কলকাতায় আবার অন্যরকম। জয়পুরে এক রকম পরিবেশ, মুম্বাই-দিল্লিতে আলাদা- সবকিছু মিলিয়ে ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি ও মানুষের সঙ্গে পরিচয় হচ্ছে।’
Discussion about this post