শরীরটাকে মন্দিরের মতো পরিচর্যা করেন তিনি। এজন্য ডায়েট চার্টের বাইরে যাননা বিরাট কোহলি। আর অনুশীলনেও নেই কোন ঢিলেমি। এজন্য পড়াশোনাটাও বিসর্জন দিতে হয়েছে তাকে। নিজের মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ও তিনি খেলতে চলে গিয়েছিলেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক এতো দিন পর সেই কথাটা জানালেন। তিনি বলেন ‘বোর্ডের পরীক্ষা দেওয়ার সময়ও নিয়মিত অনুশীলন আর ম্যাচ খেলতাম আমি। ক্রিকেট আমাকে চাপমুক্ত থাকতে সাহায্য করেছে। খেলতাম বলেই পরীক্ষার চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেত না। এ কারণে পড়ার সময় ফাঁকা মাথায় পড়তে পারতাম।’
বিরাট কোহলি কিশোর আর তরুনদের ভার্চুয়্যাল খেলাধুলা থেকে বেরিয়ে মাঠের খেলায় মন দিতে বলেন কোহলি। তিনি বলেন, ‘দেখুন, প্রযুক্তি আসলে একটা নেশার মতো। আর যে কোনো ব্যাপারে বাড়াবাড়ি বিপদ ডেকে আনতে পারে। ছোটদের একটা রুটিনের মধ্যে রাখতে হবে। সেই রুটিনে মাঠে খেলতে যাওয়া বাধ্যতামূলক। ভার্চুয়ালি নয়, সত্যিকারের খেলার মজা নিতে জানতে হবে।’
আবার নিজে ব্যায়ামের ব্যাপারেও তিনি বেশ সিরিয়াস। এনিয়ে বর্তমান প্রজন্মের উদাসীনতায় হতাশ ভারত অধিনায়ক। কোহলি বলেন, ‘এক জরিপে দেখা গেছে মানুষ প্রতিদিন কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় মোবাইলের পেছনে ব্যয় করে। প্রযুক্তি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উপকারী হওয়ার থেকে অপকার বয়ে আনছে। মানসিক আর শারীরিক উন্নতির জন্য কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয় মানুষ সেটা বুঝতে পারছে না।’
এমন নিয়ম মেনে চলেন বলেই এখন ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে আলাদা করে জায়গা করে নিয়েছেন কোহলি। একের পর এক রেকর্ড গড়ছেন তিনি।
Discussion about this post