চলেই গেলেন তিনি। গত ২৮ দিন লড়েছিলেন। লতা মঙ্গেশকর ২৮ দিন ধরে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে লড়েছেন। শেষটাতে এসে ছিলেন লাইফ সাপোর্টে। কিন্তু আর ফেরা হলো না! রোববার চির বিদায় নিলেন লতা। গানের পাখি!
কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকর ৯২ বছর বয়সে চলে গেলেন চিরতরে। মুম্বাইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তার মৃত্যুর শোক ছুঁয়েছে ক্রিকেটাঙ্গনও। ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি তাকে টুইট শ্রদ্ধা জানালেন।
কোহলি শোকবার্তায় লিখলেন, ‘লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত৷ তার মধুর সঙ্গীত লক্ষ লক্ষ মানুষকে ছুঁয়ে গিয়েছে বহুবার। আপনার সমস্ত সঙ্গীত ও স্মৃতির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। পরিবারের মানুষের জন্য আমার গভীর সমবেদনা।’
হরভজন সিং লিখেছেন, ‘লতাজির মৃত্যুর খবর শুনে খুব দুঃখ হয়েছে৷ আপনার আওয়াজ আমাদের হৃদয়ে সবসময় বেচে থাকবে৷ কোটি কোটি প্রণাম।’
ক্রিকেটের সঙ্গে আরও একটা জায়গায় জড়িয়ে আছেন লতা। বলা হয়ে থাকে-লতা মঙ্গেশকরের বিয়ে না করার আরেকটি কারণ হচ্ছে, দুঙ্গারপুর রাজবংশের ছেলে মহারাজা রাজ সিংহের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। মহারাজা রাজ সিংহ ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমী। দীর্ঘ ২০ বছর বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
রাজ সিংহ ছিলেন লতার ভাই হৃদয়নাথের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এ কারণে মাঝেমধ্যেই লতা মঙ্গেশকরের বাড়িতে যেতেন। সেখান থেকে তাদের আলাপ-পরিচয়। তারপর প্রেম। এমন কী তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এই বিয়ের জন্য রাজি ছিলেন না রাজ সিংহের বাবা মহারাওয়াল লক্ষ্মণ সিংহ। কারণ, লতা একজন সাধারণ বাড়ির মেয়ে। তার ছেলের বিয়ে হবে কোন রাজকীয় পরিবারে। এই ইগোতেই সর্বনাশ।
বাবার কথাকে সম্মান দিয়ে রাজ সিংহ আর লতাকে বিয়ে করেননি। আবার তিনিও আজীবন অবিবাহিত ছিলেন। ২০০৯ সালে রাজ সিংহ মৃত্যুবরণ করেন। এবার লতাও চলে গেলেন।
Discussion about this post