পাকিস্তান নয়, বাংলাদেশের যুবারা সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই চেয়েছিল। কেননা, বিশ্বকাপ শুরুর আগের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ক্যারিবিয়দের হারিয়ে আত্মবিশ্বাসটা আকাশে নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল। কে জানে সেই সাফল্যের আত্মতুষ্টিই কীনা সেমিফাইনালে ‘নার্ভাস’ ক্রিকেট খেলল মেহদী হাসান মিরাজের দল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটাও হেরে গেল। ক্যারিবীয় যুবাদের কাছে ৩ উইকেটে হেরে শেষ হয়ে গেল জুনিয়র টাইগারদের বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন!
স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে এখন আইসিসি অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের তৃতীয়স্থান নির্ধারনী ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। শনিবার যেখানে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।
অন্যদিকে রোববার শিরোপা লড়াইয়ে ক্যারিবিয়রা মুখোমুখি হবে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের।
প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠে আসা বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার টস জিতেই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে। কুয়াশার চাদর মোড়া সকালে টস জিতে ব্যাট করতে নামে মিরাজের দল। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারের শেষ বলে অলআউট হয়ে করে ২২৬ রান। জবাব দিতে নেমে ৪৮.৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ক্যারিবীয়রা।
টুর্নামেন্টে আগের প্রতিটি ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলকে চেনা যায়নি এই ম্যাচে। ব্যাটিং, বোলিং এরপর ফিল্ডিং তিনটিতেই ব্যর্থ। অন্যদিকে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম পর্ব পেরোনোর শঙ্কায় ছিল তারাই কীনা উঠে গেল ফাইনালে।
এদিন টাইগারদের স্বপ্ন মাড়িয়ে দারুণ ব্যাটিং করেন শিমরন হেটমায়ার এবং শামার স্প্রিঙ্গার। অধিনায়ক শিমরন ৫৯ বলে ৬০ রান করেন। আর স্প্রিঙ্গার ৮৮ বলে ৬২। বল হাতে ৩৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে সেমির সেরা তিনিই।
বাংলাদেশের যুবাদের হয়ে সালেহ আহমেদ শাওন তুলে নিয়েছেন ৩টি উইকেট। মিরাজ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
পিনাক ঘোষ ব্যর্থতা দিয়েই শেষ করলেন তার বিশ্বকাপ। ৫ ম্যাচ খেলে তিনটিতেই শুন্য রানে আউট তিনি। ব্যর্থ অন্য ওপেনার সাইফ হাসানও। তার ব্যাটে ১০ রানে।
নাজমুল হোসেন শান্তও এদিন কিছু করে দেখাতে পারেননি। ১১ রানে আউট তিনি।
এরপর জয়রাজ শেখ ফিরলেন ৩৫ রানে। জাকির হাসান আউট হয়ে গেলেন ২৪ রানে। ১১৩ রানে শেষ ৫ উইকেট শেষ! অধিনায়ক মেহদী হাসান মিরাজ ঠিক তখন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে নিয়ে গড়েন ৮৫ রানের জুটি।
সাইফউদ্দিন (৩৬) আর মিরাজ (৬০) ফিরে গেলে বেশিদুর এগোতে পারেনি বাংলাদেশ। মিরাজ তুলে নেন টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় ফিফটি।
Discussion about this post