টি-টেন ক্রিকেটে প্রতিটি বল যেন যুদ্ধ। যেখানে ব্যাটসম্যানরা বাউন্ডারির জন্য মরিয়া, সেখানে একজন বোলারের দায়িত্ব শুধু উইকেট নয়-ছন্দ ভাঙাও। এই কঠিন ভারটাই যেন কাঁধে তুলে নিলেন সাকিব আল হাসান। বল হাতে রাখলেন নিয়ন্ত্রণ, ছড়ালেন জাদু। কিন্তু দলের ব্যাটিং ব্যর্থতায় হার এড়ানো গেল না।
সায়মান বে স্ট্রিনগ্রেইস টস জিতে ব্যাটিং নেয়। লক্ষ্য ছিল বড় স্কোর, কিন্তু সাকিবের ঘূর্ণির সামনে সেই পরিকল্পনায় লাগে ধাক্কা। তবে এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে লড়াই চালিয়ে যান বৃত্ত অরবিন্দ। ২২ বলে ৩৯ রানের ঝলমলে ইনিংসে তিনি হাঁকান ৫টি চার ও ১টি ছক্কা। দলটি শেষ পর্যন্ত সংগ্রহ করে ৯৭ রান, ১০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে।
টি-টেনের মতো ফরম্যাটে দুই ওভার বল করেই বাজিমাত করলেন সাকিব। বল করলেন নিখুঁত লাইন-লেন্থে, ঠাণ্ডা মাথায়। প্রথম শিকার ম্যাথু থ্রম্প, যিনি ৮ বলে ১৯ রান করে হচ্ছিলেন ঝড়ো। সাকিব সেই ঝড় থামালেন। এরপর ফেরালেন কবি হার্ফটকে। সাকিবের বোলিং ফিগার ২ ওভার, ১১ রান, ২ উইকেট, কোনো বাউন্ডারি নয়।
মিয়ামি ব্লেজ ইনিংস শুরু করতেই পড়ল বিপদে। ওপেনার শচীন দিওয়াঙ্গানা আউট হন প্রথম বলেই। আর তার সঙ্গী সাকিব ২ বল খেলে ফিরলেন শূন্য রানে। ইনিংসের গোড়াতেই ছন্দপতন।
মাঝে টম ও’কনেলের ৪ বলে ১৬ রানের ঝড় কিছুটা আশার আলো দেখালেও তা ক্ষণস্থায়ী। ইনিংসের শেষদিকে ক্রিস্টোফার বলরাজ ৮ বলে ১৭ রান করে লড়াইয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যবধান কমানো ছাড়া তার ইনিংস কিছু এনে দিতে পারেনি। ৯১ রানে থেমে যায় মিয়ামি ব্লেজের ইনিংস, পড়ে ৬ রানের হতাশাজনক হার। পঞ্চম ম্যাচে চতুর্থ পরাজয়, প্লে-অফের স্বপ্ন ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য।
Discussion about this post