তিনি যে একেবারেই নিম্মবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছেন, সেই গল্পটা সবারই জানা।
খুলনার খালিশপুরের হাউজিং স্টেটের বিআইডিসি রোডের নর্থ জোন বি ব্লকের ৭ নং প্লটে ভাড়া করা এক জীর্ন কুটিরে সপরিবারে থাকেন তিনি। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে বেড়ে উঠা এই প্রতিভাটিই উজ্জ্বল করেছেন বাংলাদেশের মুখ। ইংল্যান্ডকে টেস্টে হারানোর নায়কের এমন কষ্টে বেড়ে উঠার গল্পটা জেনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা।
তাইতো মেহদী হাসান মিরাজকে খুলনায় বাড়ি বানিয়ে দিতে বলেছেন ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাবা রেন্ট-এ-কার চালক জালাল হোসেন তালুকদার। মা গৃহিণী মিনারা বেগম। রয়েছে একমাত্র বোন রুমানা আক্তার মিম্মা। তাদের নিয়েই মিরাজের পরিবার। সেই পরিবারে অভাব অনটন থাকলেও সুখের শেষ নেই। তবে বসবাসের জন্য ভাল একটা বাড়ি ছিল না। এবার সেটা পেয়ে গেলেন মিরাজ। তার পরিবারের থাকার জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে খুলনার জেলা প্রশাসকের কাছে।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নেতৃত্ব দেওয়া মিরাজ যুব বিশ্বকাপে হয়েছিলেন সেরা খেলোয়াড়। তখনো বাড়ি ফেরার পর তাকে ঘিরে ছিল ভীড়। এবার খুলনায় নিজ বাড়িতে ফিরে তারকা খ্যাতি পেলেন তিনি। তাদের জীর্ন কুটিরের ছোট্ট উঠোনে মানুষের ভিড় ঠাঁই দেয়া যাচ্ছে না।
গাড়িচালক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা বাবা অসুস্থতার কারণে সেই পেশা ছেড়েছেন। তাইতো এই কুড়েঘর ছেড়ে ফ্ল্যাটে উঠার সুযোগটাও নেই। তবে এবার প্রধামন্ত্রীর কল্যানে নিজ বাড়িতেই থাকার সুযোগ মিলবে মিরাজের।
তাকে নিয়ে এমন উন্মাদনাটাও যৌক্তিক। ১২৯ বছরের পুরনো বিশ্বরেকর্ড ভেঙেছেন এই তিনি। অভিষেকের পর দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার রেকর্ড মিরাজের। টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ ১৮ উইকেট তিনি ১৮৮৬ সালে বিশ্বরেকর্ড গড়েন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক বাঁহাতি পেসার জন জেমস প্যারিসের দখলে ছিল। মিরাজ ১৯ উইকেট নিয়ে তাকে টপকে যান।
Discussion about this post