তার উঠে আসার গল্প যেন রূপকথারই মতো। এমন এক পরিবারে জন্ম তার যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। খুলনার খালিশপুরের হাউজিং স্টেটের বিআইডিসি রোডের নর্থ জোন বি ব্লকের ৭ নং প্লটে ভাড়া বাড়িতে বেড়ে উঠা মেহেদী হাসান মিরাজের। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে বেড়ে উঠা।
বাবা রেন্ট-এ-কার চালক জালাল হোসেন। মা গৃহিণী মিনারা বেগম। রয়েছে একমাত্র বোন রুমানা আক্তার মিম্মা। তাদের নিয়েই মিরাজের পরিবার।
তার বাবা একসময় রেন্ট কারের গাড়ি চালাতেন। এখন অবশ্য সেটা ছেড়েই দিয়েছেন প্রায়। ছেলে আয় করতে শুরু করেছে তিনি নিজেও নির্ভার হতে শুরু করেছেন।
তবে দারিদ্রতা এখনো তেমন কাটেনি। এই যেমন রোববার মিরাজের ঢাকা টেস্টের জয়ের নায়ক হওয়ার দিনে কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হল তার বাবাকে। শুভেচ্ছা জানাতে আসা মানুষগুলোকে কোথায় যে বসতে দেবেন। তবে সবাই মিষ্টি খাওয়াতে ভুল করলেন না। প্রায় আধ মন মিষ্টি কিনলেন। সবাইকে তাই দিয়ে আপ্যায়ন করালেন।
ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত জালাল বলছিলেন, ‘আমি ছেলের সাফল্যে অনেক খুশি। তার আমার ছেলে যে স্বপ্ন নিয়ে খেলতে নেমেছিল তা স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আল্লাহর কাছে এ জন্য শুকরিয়া আদায় করছি। আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।’
টিভিতে ছেলের বোলিং দেখে খুব ভাল লেগেছে মিরাজের বাবার। মা মিনারা বেগমওখেলা দেখেছেন। তিনি মিডিয়াকে বলেছেন, ‘সবাই আমার ছেলেকে যেভাবে ভালবাসা দিয়েছে, তাতে খুব খুশি। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
রোববার মিরাজের ম্যাজিকেই ঢাকা টেস্টে ১০৮ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২ ইনিংসে ১২ উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার। সব মিলিয়ে ২০ উইকেট নিয়ে হয়েছেন সিরিজসেরা।
Discussion about this post