২০১২ সালের হারের প্রতিশোধটা এবার নিয়ে নিল বাংলাদেশ। চার বছর আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ২ রানে হেরছিল বাংলাদেশ। এবার
শহিদ আফ্রিদির দলকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ পেয়ে গেল ফাইনালের টিকিট। ৬ মার্চ এশিয়া কাপের শিরোপা লড়াইয়ে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ভারত।
বুধবার মিরপুর শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে বুধবার টস জিতে পাকিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৯ রান তুলে তারা। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ ১৯.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে।
এই হারে বিদায় হয়ে গেল পাকিস্তানের। একইসঙ্গে স্বপ্ন ভাঙ্গল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কারও।
ছেলে আরহামের মুখ দেখে দেশে ফিরে একাদশে জায়গা পেলেন তামিম ইকবাল। মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় নামেন এই ওপেনার। ৭ রানে ফিরে যান তিনি। সাব্বির রহমান ১৫ বলে ১৪ রান করে আউট।
পাকিস্তান ১০ ওভারে তুলেছিল ৪ উইকেটে ৩৪। একই ওভারে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৬৫ রান।
৪৮ বলে ৪৮ রান করে মোহাম্মদ আমিরের বলে আউট সৌম্য সরকার। এটিই টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারে তার সেরা ইনিংস। ১৫ বলে ১২ রানে ফিরে যান মুশফিকুর রহীম। সাকিব আল হাসান ১৩ বলে ৮ রান করে আউট হলে চাপে পড়ে দল। তবে মাশরাফি-মাহমুদুল্লাহ মিলে বাকীটা পথ পাড়ি দেন।
১৫ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ। মাশরাফি ৭ বলে অপরাজিত ১২। বাংলাদেশ ৫ বল বাকী থাকতেই পেয়ে যায় স্মরণীয় এক জয়।
এর আগে পাকিস্তানের হয়ে যা একটু লড়েছেন সরফরাজ আহমেদ। তিনি অপরাজিত ৪২ বলে ৫৮ রানে।
আল আমিন নিয়েছেন ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে এই পেসারের শিকার সংখ্যা ১০ উইকেট। মূল পর্বে খেলাদের মধ্যে শীর্ষ উইকেট শিকারি তিনিই। আরাফাত সানি ২টি উইকেট। এছাড়া মাশরাফি ও তাসকিন নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
Discussion about this post