আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ক্রীড়াঙ্গনেও সংস্কার চাইছেন সবাই। এই দাবিতে রীতিমতো উত্তাল মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের চারপাশে। আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য, মন্ত্রীদের অনেকেই দেশে নেই। পদত্যাগও করেছেন কেউ কেউ। এ অবস্থায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও পদত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন এমন খবর এসেছে গণমাধ্যমে।
গুঞ্জন আছে- বড় একটা পরিবর্তন আসছে বিসিবি এবং তাতে এখানে হয়ত থাকবেন না আগের বোর্ডের অধিকাংশ পরিচালক।
পাপনের পদত্যাগেই সব সমস্যার সমাধান হবেনা বলে মনে করেন পেশাদার ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল। তিনি বলছিলেন, ‘আমরা শুনেছি, তিনি পদত্যাগে সম্মত হয়েছেন। তবে তিনি কবে কোথায় কার কাছে পদত্যাগ করবেন, তা নির্দিষ্ট করেননি। যদি তার পদত্যাগ করতে চাওয়ার কথা সত্যি হয়, তাহলে শুধু নিজে পদত্যাগ করলেই হবে না, আমরা পুরো পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগ চাই। শুধু তার পদত্যাগেই বিসিবি দুর্নীতিবাজমুক্ত হবে না। তার বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সবাই নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মে জড়িত। সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে।’
এদিকে বিসিবির ভিতরের সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খালেদ মাসুদ পাইলট। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক এটি গণমাধ্যমে বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডে যাওয়ার জন্য আমি চেষ্টা করেছিলাম। গত নির্বাচনে আমি চেষ্টা করেছিলাম। আমার খুব স্বপ্ন ছিল যে অবসরের পর আমরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাইনি, সেগুলো ডেভেলপ করবো। আমি গত নির্বাচনে চেষ্টা করেছি সেখানে পলিসি মেকিংয়ের জায়গায় যেতে। তবে যেহেতু সেখানে প্যানেলে না যেতে পারলে, কিছু দল না করলে আপনি যেতে পারবেন না। আমি রাজশাহী বিভাগ থেকে পরিচালক হওয়ার চেষ্টা করেছিলাম, যাতে রাজশাহীর ক্রিকেটকে কীভাবে উন্নত করা যায়। তাই আমি দাঁড়িয়েছিলাম, কিন্তু দেখলাম সেখানে ৯টা ভোটের মধ্যে ৭টা ভোটই বিক্রি হয়ে যায়। বিসিবির শীর্ষ মহল থেকে ফোন দিয়ে বলা হয়েছিল যে পাইলটকে যেন একটা ভোটও না দেওয়া হয়। আমি বলব তারা কিন্তু ক্রিকেটের উন্নতির জন্য আসেনি।’
বিসিবি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে ক্রিকেটের মানুষরা যাতে বোর্ডে না আসতে পারেন। পাইলট বলেন, “কোনো খেলোয়াড় বা স্কিলড লোক কেউ যদি ক্রিকেট বোর্ডে আসতে চায়, তারা কিন্তু আসতে পারবে না। কিন্তু তারা এত হাজার কোটি টাকার মালিক না। তারা শুধু ক্রিকেট খেলেছে। আমার কাছে মনে হয় ক্রিকেট বোর্ডে এমন গঠনতন্ত্র থাকা উচিত, যাতে এই ধরণের লোক যারা টাকা থাকলেই সেখানে যেতে পারবে না। তার কিছু যোগ্যতাও থাকতে হবে।’
Discussion about this post