বিসিবির সহ-সভাপতি পদে নির্বাচনের আগের রাত পর্যন্ত অনেক টেনশনে ছিলেন অন্যতম প্রার্থী মাহবুব আনাম। হঠাৎ এই পদের জন্য নির্বাচনে নেমে পড়া শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কর্মকর্তা নজিব আহমেদই তার টেনশন বাড়িয়ে দেন। নির্বাচনের আগের রাতে নজিব আহমেদ রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে বিসিবির পরিচালকদের নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান। তিনি এই দাওয়াতে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচনে বিসিবির পরিচালকদের সমর্থন চান। তখন ঘাড় নেড়ে অনেক পরিচালকই তাকে নিশ্চয়তা দেন।
কিন্তু সব হিসেব বদলে গেল নির্বাচনের দিন। ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধায় এই পদে ভোট গননা শেষে দেখা গেল তিন প্রার্থীর মধ্যে নজিব আহমেদই সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন। আর সবচেয়ে বেশি ২১ ভোট পেয়ে সহসভাপতি নির্বাচিত। নিজের পক্ষে ১৭ ভোট পেয়ে আরেক সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আজম নাসির। আর বেচারা নজিব আহমেদের বাক্সে পড়েছে মাত্র ৮ ভোট।
-অথচ নির্বাচনের আগের রাতে অনেকেই মাহবুব আনামের সম্ভাব্য হার প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের দিন এসে হিসেবটা বদলে গেল।
-কেন? কিভাবে?
কারণ আর কিছু নয়। খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনই তার সমর্থনের হাত মাহবুব আনামের মাথায় বুলিয়ে দিলেন। আর তাতেই পাল্টে গেল ভোটের হিসেব। বোর্ড সভাপতি যখন প্রায় প্রকাশ্যে কোন প্রার্থীর পক্ষে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন তখন বাকি সভাসদ অন্য দিকে কিভাবে যায়? আর তাই বোর্ড সভাপতি এই সহ-সভাপতি পদে মাহবুব আনামের ওপর যখন নিজের সমর্থন তুলে ধরেন তখন বোর্ডের বাকিরা সেটাকে একপ্রকার নির্দেশ হিসেবেই মেনে নিলেন।
অন্তত ভোটের ফলাফল তাই জানাচ্ছে।
সহ-সভাপতি পদে বিসিবির ২৩ জন পরিচালক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস সাংবাদিকদের জানান-‘ কয়েকজন পরিচালক দেশের বাইরে থাকায় তারা ই-মেইল এবং এসএমএসের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।’
বিসিবির আরেকটি সুত্র জানায়-সহ-সভাপতি পদে যাতে ভোটাভুটি না হয় সেজন্য সমঝোতার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সমঝোতা আর শেষমেষ হয়নি। তাই ভোটাভুটিতে যেতেই হয়। আর এই ভোটাভুটিতে বিসিবি সভাপতির পছন্দের দুই প্রার্থীকেই বেছে নিলেন পরিচালকরা।
Discussion about this post