অবসর বলার মতো সময় এখনো হয় নি। তার বয়স মাত্র ৩৩। ব্যাটসম্যানদের জন্য এটাই তো সেরা সময়। তিনি নিজেও বেশ খেলছিলেন। কিন্তু আচমকা গ্রায়েম স্মিথ জানালেন ক্রিকেটকে বিদায় বললেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কেপটাউনে তৃতীয় ও শেষ টেস্ট শেষেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে গুডবাই বললেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক। গত বছরের ডিসেম্বরে টেস্ট থেকে অবসরে যান প্রোটিয়াদের সর্বকালের অন্যতম সেরা তারকা জ্যাক ক্যালিস। এবার তাকে অনুসরণ করলেন স্মিথও। ক্যালিস অবশ্য আভাস দিয়ে রেখেছেন বোর্ড চাইলে তিনি ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে রাজি। কিন্তু স্মিথ সবধরনের ক্রিকেট থেকেই সরে গেলেন।
অবসরের কারন জানাতে গিয়ে স্মিথ বললেন -‘এর চাইতে কঠিন সিদ্ধান্ত আগে আর কখনও নেই নি। আসলে গত বছরের এপ্রিলে গোড়ালিতে অস্ত্রোপচারের পরই অবসরের ব্যাপারটা মাথায় খেলছিল। সঙ্গে যোগ হয়েছে আমার পরিবার। স্ত্রী ও সন্তানদের এখন সময় দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরী। আর কেপটাউন তো সেই ১৮ বছর বয়স থেকেই আমার বাড়ির মাঠ। ঘরের মাঠে অবসরের সুযোগটা তাই হাতছাড়া করতে মন চাইল না।’
২০০২ সালে কেপটাউনেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল স্মিথের। ২০০৩ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সেই বাংলাদেশ সফরে তিনি দলের নেতৃত্ব পান। ক্রিকেট ইতিহাসে স্মিথ তৃতীয় কনিষ্ঠতম টেস্ট অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মোট ১১৬ টেস্ট খেলে নেতৃত্ব দিয়েছেন ১০৯ টেস্টে। যেটা রেকর্ড। এছাড়া ২০০৫ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্ব একাদশেরও টেস্ট অধিনায়ক ছিলেন স্মিথ। পেছনে ফেলেছেন সাবেক অজি অধিনায়ক অ্যালান বর্ডারকে। যিনি অস্ট্রেলিয়াকে ৯৩ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অধিনায়ক হিসেবে সর্বাধিক টেস্ট জয়ের রেকর্ডও স্মিথের। তার অধিনে প্রোটিয়ারা জিতে ৫৩ টেস্ট, ড্র ২৭ এবং হারও ২৮ টেস্টে। পন্টিং অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়েছেন ৪৮ টেস্ট। স্মিথের অধিনায়কত্বেই দক্ষিন আফ্রিকা টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে পৌছায়।
স্মিথ এর আগে ২০১০ সালে ওয়ানডে থেকে বিদায় নেন। প্রোটিয়াদের ১৪৯ ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেন স্মিথ। জেতেন ৯২ ম্যাচে। হার ৫১টিতে। একটি টাই ও পাচটিতে কোনো ফল হয়নি। পাশাপাশি ২৭ টি টুয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করে জিতেছেন ১৮ ম্যাচে। হার নয়টিতে। আপাতত ১১৭ টেস্টে স্মিথের রান ৯২৬৫। গড় ৪৮.২৫। সেঞ্চুরি ২৭, হাফসেঞ্চুরি ৩৮।
Discussion about this post