সিলেটের সকালের আবহে আইরিশদের টিকে থাকার যে ক্ষীণ আশা ছিল, দিনের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে সেটা মুছে দিয়েছে বাংলাদেশের স্পিন ত্রয়ী। দ্বিতীয় ইনিংসে আয়ারল্যান্ড চেষ্টা করেছিল লড়াইকে দীর্ঘায়িত করতে। ব্যাট হাতে ম্যাকব্রাইনের অর্ধশতক, নেইল–ম্যাককার্থির দুঃসাহসী প্রতিরোধ-সব মিলিয়ে ইনিংস হারের চাপটা এক সময় কমে এসেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের ঘূর্ণি আক্রমণের সামনে আয়ারল্যান্ডের শেষ ভরসাটুকুও টিকল না। শেষ পর্যন্ত ইনিংস ও ৪৭ রানের জয় নিয়েই সিরিজে দাপুটে সূচনা করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
দিন শুরুতে আয়ারল্যান্ডের সামনে ছিল পাহাড়সম চাপ। ৮৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তারা যখন মাঠে নামে, মনে হচ্ছিল ইনিংসটি খুব দ্রুতই গুটিয়ে যেতে পারে। কিন্তু ম্যাকব্রাইন সেই সম্ভাবনাকে বিলম্বিত করেন। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে বোলারদের ছন্দ ভেঙে তিনি তুলে নেন ফিফটি। বালবির্নির ৩৮ রানের ইনিংসও দলকে কিছুটা এগিয়ে দেয়। দুইজনের লড়াই মিলেই লাঞ্চের আগে স্কোর দাঁড়ায় ১৯৮।
কিন্তু বিরতির পর শুরু হয় বাংলাদেশের শেষ ঝাঁপ। নাহিদ রানা ফেরান ম্যাকব্রাইনকে; তার বিদায়ের পর থেকেই আবার দুর্বল হতে থাকে আইরিশ ব্যাটিং। এরপর নেইল ও ম্যাককার্থি ব্যাট হাতে পাল্টা আক্রমণে যান। দ্রুত রান তুলে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চাপ বাড়িয়ে তুলেছিলেন তারা। নেইলের ৫৩ বলে ৩৬, আর ম্যাককার্থির ২৭ বলে ২৫ রানের ইনিংস আইরিশ দর্শকদের কিছুটা আশা জাগালেও সেটি দীর্ঘ হয়নি। হাসান মুরাদ নেইলকে ফেরান, আর পরের ওভারেই তাইজুলের বলে ক্যাচবিহাইন্ড হয়ে ম্যাককার্থির বিদায়ে শেষ হয় আয়ারল্যান্ডের প্রতিরোধ। রিভিউ নিয়েই শান্ত নিশ্চিত হন শেষ উইকেটের ব্যাপারে।
২৫৪ রানে থেমে যায় আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস, আর তাতেই নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের ইনিংস জয়। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রান তুলে ঘোষণা করেছিল টাইগাররা, যা আইরিশদের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল অনেক আগেই। মুরাদের ৪ উইকেট, তাইজুলের ৩ এবং রানার নিয়ন্ত্রিত আক্রমণ মিলেই জয়টি হয় একপাক্ষিক।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পেল তাদের ২৪তম টেস্ট জয়, আর ইনিংস ব্যবধানে চতুর্থ। ১৯ নভেম্বর মিরপুরে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট।










Discussion about this post