সিলেটে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন কাটল দারুণ নাটকীয়তায়। ক্যাচ মিস ও অগণিত রিভিউ নষ্ট করায় হতাশার একটি সকাল পার করেছে বাংলাদেশ। তবে সব মিলিয়ে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের সম্ভাবনা এখনো টিকিয়ে রেখেছে স্বাগতিকরা।
দিনের শুরুতে ৫ উইকেটে ৮৬ রান নিয়ে মাঠে নেমেছিল আয়ারল্যান্ড। সেশনের প্রথম দিকে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে মাত্র ১৬ রান করে ফিরে যান ম্যাথু হামফ্রেস। তার বিদায়ে দলীয় স্কোর ছিল ১১৬। এরপর ক্রিজে এসে অভিজ্ঞ অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের সঙ্গে জুটি গড়েন অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নি। ওপেনার হিসেবে নামলেও এই ইনিংসে অধিনায়ক নেমেছেন আট নম্বরে, আর সেই সিদ্ধান্ত যে পুরোপুরি ভুল ছিল না, জুটির সাবলীল ব্যাটিং তা বোঝাতেই যথেষ্ট।
দুজন অ্যান্ডির ব্যাটিং আইরিশদের ইনিংসকে সামনে এগিয়ে নেয়। বাংলাদেশের স্পিন ত্রয়ী তাইজুল ইসলাম, হাসান মুরাদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ যথেষ্ট সহায়তাপূর্ণ উইকেট পেয়েও ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। ফলে আইরিশদের ইনিংস হার এড়ানোর আশা আরও জোরালো হতে থাকে। ম্যাকব্রাইন তুলে নেন ১০২ বলে তার দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরি, আর বালবির্নিও লড়াই চালিয়ে যান দৃঢ়তার সঙ্গে।
তবে লাঞ্চের ঠিক আগ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ এক আঘাত হানেন হাসান মুরাদ। ৬৩ বলে ৩৮ রান করা বালবির্নি ফিরে গেলে ভাঙে জুটির সমাপ্তি। অন্য প্রান্তে ম্যাকব্রাইন ৫২ রানে অপরাজিত থেকে জর্ডান নিলকে সঙ্গে নিয়ে আইরিশদের আরও ভরসা জুগিয়ে লাঞ্চে যান। অভিষিক্ত নিল ২২ বলে ৬ রান নিয়ে বিরতিতে টিকে থাকেন।
প্রথম সেশনে আয়ারল্যান্ড যোগ করেছে ১১২ রান, হারিয়েছে মাত্র দুটি উইকেট। সেশনের শেষে ৭ উইকেটে ১৯৮ রান করা আয়ারল্যান্ডকে এখনো ইনিংস হার এড়াতে করতে হবে আরও কমপক্ষে ১০৩ রান। বাংলাদেশের হয়ে হাসান মুরাদ তিন উইকেট, তাইজুল ইসলাম দুই উইকেট এবং নাহিদ রানা একটি উইকেট শিকার করেছেন।










Discussion about this post