শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল আকবর আলীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ, কিন্তু হংকং সিক্সেসের শেষ আটে এসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই জয়ের ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি তারা। মংককের মিশন রোড মাঠে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ৫৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরে সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশের।
এর আগে ‘ডি’ গ্রুপে শ্রীলঙ্কাকে ১৪ রানে হারিয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আকবর আলী সেই ম্যাচে খেলেছিলেন ৯ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তটা শেষ পর্যন্ত ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়।
অজি ব্যাটারদের ঝড়ে বাংলাদেশি বোলারদের কোনো রকম দম নেবার সুযোগই মেলেনি। নির্ধারিত ৬ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া—যা টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। অধিনায়ক অ্যালেক্স রস ১১ বলে ৫০ এবং বেন ম্যাকডারমট ১৪ বলে ৫১ রান করেন। উইলিয়াম বসিস্টোও মাত্র ৬ বলে ৩০ রানে অবদান রাখেন। পুরো ইনিংসে বাংলাদেশি বোলাররা হজম করেন ২১টি ছক্কা। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও রাকিবুল হাসান নেন একটি করে উইকেট।
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান (৩) ও জিসান আলম (৩) দ্রুত ফিরলে, অধিনায়ক আকবর আলীও শূন্য রানে আউট হন। একপর্যায়ে দলীয় স্কোর যখন ১৯, তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
শেষ দিকে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন রাকিবুল হাসান ও আবু হায়দার রনি। পঞ্চম উইকেটে তারা ৬০ রানের জুটি গড়েন। রাকিবুল করেন ১০ বলে ২৫ রান, আর রনি খেলেন ১৮ বলে ৫০ রানের ইনিংস, যাতে ছিল ৭ ছক্কা ও ২ চার। তবে তাদের লড়াইয়ে কেবল ব্যবধান কমানোই সম্ভব হয়। নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ৯৫ রানে থামে আকবরের দল।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ক্রিস গ্রিন নেন ৩ উইকেট। ম্যাচসেরা হন অধিনায়ক অ্যালেক্স রস, যিনি মাত্র ১১ বলে ১ চার ও ৭ ছক্কায় ৫০ রান করেন।
এই হারে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ, নেমে যায় প্লেট পর্বে। আগামীকাল প্লেট সেমিফাইনালে খেলবে তারা, যদিও প্রতিপক্ষ এখনো নির্ধারিত হয়নি।
অন্যদিকে একই দিনে ভারতের জন্যও ছিল হতাশার খবর। দিনেশ কার্তিকের নেতৃত্বাধীন দলটি গ্রুপ পর্বেই বিদায় নেয়-কুয়েতের কাছে ২৭ রানে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ৪ উইকেটে হেরে। আজই নেপালের বিপক্ষে খেলবে ভারত, তবে সেই ম্যাচ কেবলই মর্যাদার লড়াই।










Discussion about this post