দীর্ঘ বাইশ বছর পর আবার মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে পা রাখলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাম্প্রতিক নির্বাচনে পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই ছিল তাঁর প্রথম অফিস সফর।
গত ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বিসিবির নির্বাচনে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে পরিচালক নির্বাচিত হন আসিফ। সেই সময় তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে, সেখান থেকেই অংশ নেন নির্বাচনে। দেশে ফেরার পরপরই আজ সকালে চলে আসেন বিসিবি কার্যালয়ে।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আসিফ বলেন, ‘আজ প্রথম বিসিবিতে ঢুকলাম। এখানে এসেছি ২০০৩ সালে, তখন আরাফাত রহমান কোকো সাহেব হাইপারফরম্যান্সের প্রধান ছিলেন। এই মাঠের প্রত্যেকটা ইঞ্চি আমার চেনা। মিরপুর মাঠে প্রথম সাউন্ড সিস্টেম আমিই বাস্তবায়ন করি।’
পুরনো দিনের স্মৃতি মনে করেই যেন নতুন দায়িত্ব শুরু করলেন আসিফ আকবর। তিনি আরও বলেন, ‘বোর্ডের পরিচালক ও কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার সময় ছিলাম যুক্তরাষ্ট্রে। গতকাল দেশে ফিরেছি। মনে হলো দেরি করা ঠিক হবে না, তাই আজ সকালে চলে এলাম। মাঠে ঘুরে দেখলাম, অনেক স্মৃতি জেগে উঠেছে।’
গানের জগতে সফল এই শিল্পী এবার নিজের ভালোবাসার আরেক ক্ষেত্র ক্রিকেটে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন গুরুত্বসহকারে। তার মূল লক্ষ্য বয়সভিত্তিক ক্রিকেটকে আরও শক্ত করা। ২০২০ সালে আকবর আলীর নেতৃত্বে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়কে উদাহরণ হিসেবে টেনে আসিফ বলেন, ‘স্কোরবোর্ড একটা ডকুমেন্টেশন, কিন্তু প্রতিভা তার বাইরের বিষয়। অনূর্ধ্ব–১৯ দলে যারা চ্যাম্পিয়ন হয়, তারা জাতীয় দলে এসে টিকে থাকতে পারছে না-এই ব্যবধানটা বোঝা জরুরি।’
ভারতের শক্তিশালী পাইপলাইন ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভারতে এখন প্রতিটি জায়গার জন্য চার-পাঁচজন প্রস্তুত খেলোয়াড় থাকে। আমাদেরও সেই রকম একটা সিস্টেম তৈরি করতে হবে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটই তার মূল ভিত্তি।’
বিসিবির নবনির্বাচিত এই পরিচালক মনে করেন, দেশের ক্রিকেটে টেকসই উন্নতির জন্য তরুণদের দিকেই মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। ‘বাচ্চারাই ভবিষ্যৎ। যারা বয়সভিত্তিক দলে কাজ করছেন, তারাই ভবিষ্যতের ক্রিকেটার তৈরি করবেন। ভালো কাজের সুযোগ পেয়েছি-দেশের ক্রিকেটের জন্য এটাকে কাজে লাগাতে চাই,’ বলেন আসিফ আকবর।
দীর্ঘ দুই দশক পর পরিচিত মাঠে ফিরে যেন নতুন অনুপ্রেরণায় ভরপুর আসিফ আকবর। গানের মঞ্চে যেমন দেশকে মুগ্ধ করেছেন, এবার সেই আবেগই তিনি ঢালতে চান বাংলাদেশের ক্রিকেটে।
 
			 
                                









Discussion about this post