আগস্টে নির্ধারিত ভারতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরটি অনিশ্চয়তায় পড়েছে। সফর অনুযায়ী, ১৩ আগস্ট বাংলাদেশে এসে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল ভারতের। খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মিরপুর ও চট্টগ্রামে। তবে ভারতীয় বোর্ড বিসিসিআই সম্প্রতি সফরের সময় পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়ায় এই সফর যথাসময়ে হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এখনো কোনো চূড়ান্ত অবস্থান নেয়নি। তবে বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানিয়েছেন, ‘সফর পিছিয়ে গেলেও বাতিল হচ্ছে না, বিসিসিআইয়ের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হচ্ছে। আলোচনা এখনো শেষ হয়নি। আমরা আশাবাদী যে, সুবিধাজনক সময়ে সফরটি অনুষ্ঠিত হবে।’
বিসিসিআই এখন ভারত সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছে। প্রশাসনিক অনুমতির অভাবে সফরের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শুধু পুরুষ ক্রিকেট দল নয়, জুলাইয়ে নারী ফুটবল দল নিয়েও বাংলাদেশে আসার কথা ছিল ভারতের, সেটিও আর হচ্ছে না। ফলে দুই দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ভারতের সফরসূচি নিয়ে সাময়িক স্থবিরতা তৈরি হয়েছে।
বিসিবি নিজেদের অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত সময় পার করছে। বোর্ড সভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী বিপিএল অনুষ্ঠিত হবে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে, এবং পাঁচ বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে নতুন চুক্তি হবে। বিপিএলের স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে বোর্ড কমিটিতে যুক্ত করা হবে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ।
নারী ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো একজন নারী নির্বাচক নিয়োগ দিচ্ছে বিসিবি। একইসঙ্গে প্রতিবছর ‘ক্রিকেটার্স অ্যাওয়ার্ড নাইট’ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেখানে পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
খেলোয়াড়দের পেশাদার মনোভাব গড়ে তুলতে চালু হচ্ছে ‘অ্যাথলেটস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম’। এছাড়া পূর্বাচলে নির্মিত হবে হাই পারফরম্যান্স সেন্টার, যা ভারতের সেন্টার অব এক্সিলেন্সের আদলে গড়ে তোলা হবে। কোচদের মানোন্নয়নে চালু হবে কোচিং এডুকেশন সিস্টেম।
আম্পায়ার উন্নয়নে বিসিবি তিন বছরের জন্য চুক্তি করেছে অস্ট্রেলিয়ার প্রখ্যাত সাবেক আম্পায়ার সাইমন টাফেলের সঙ্গে। তার তত্ত্বাবধানে দেশের ১০-১৫ জন নতুন প্রজন্মের আম্পায়ার গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বোর্ড।
Discussion about this post