শেষ অব্দি গুঞ্জনই সত্য হলো। নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের হতাশা যেন আরও গভীর হলো নাজমুল হোসেন শান্তর ঘোষণায়। বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি সবাইকে কিছুটা হলেও বিস্মিত করেছেন।
যদিও দীর্ঘদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল, শান্ত হয়তো নেতৃত্ব ছাড়তে পারেন, তবু আজ ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের শেষ মুহূর্তে সেই ঘোষণা ছিল খানিকটা নাটকীয়ই।
শান্ত জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি দলের ভালোর জন্য। নিজের কথায়, ‘এটা কোনো ব্যক্তিগত আবেগ বা রাগের বহিঃপ্রকাশ নয়। আমি মনে করি, তিন সংস্করণে তিন অধিনায়ক থাকাটা দলের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। আমি এই দলে অনেকদিন আছি, অনুভব করেছি-এখন নেতৃত্ব ছাড়ার সময় এসেছে।’
শান্তর বক্তব্যে বিসিবিকে ঘিরে কিছু প্রশ্নও উঠে আসে। তিনি জানান, এই সিদ্ধান্ত আগেই বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগকে জানানো হয়েছে। কিন্তু বিসিবির পক্ষ থেকে শনিবার সকালে খেলার আগে জানানো হয়, এমন কোনো কথা নাকি হয়নি। এই দ্বৈত বক্তব্য বিসিবির স্বচ্ছতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তোলে।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে শান্ত যখন তিন সংস্করণের অধিনায়ক হন, তখন তার দৃষ্টিভঙ্গিই ছিল ভিন্ন-একজন অধিনায়ক থাকাই দলের জন্য ভালো। তবে বাস্তবতার খাতিরে তিনি প্রথমে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছেড়েছেন। এরপর ওয়ানডে দলের দায়িত্ব হারানোর পর আর টেস্ট নেতৃত্বটুকুই ছিল তাঁর শেষ আশ্রয়, সেটিও এবার ছেড়ে দিলেন নিজেই।
গত দেড় বছরে শান্ত ছিলেন ভবিষ্যতের নেতৃত্ব কাঠামোর মূল অংশ। খেলোয়াড়দের সঙ্গে বোঝাপড়া, পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা এবং কোচিং স্টাফের সঙ্গে গড়ে ওঠা সম্পর্ক-সব মিলিয়ে ভবিষ্যতের কাণ্ডারি হয়ে উঠছিলেন তিনি।
Discussion about this post