ওয়ানডে দলে নেতৃত্বের নতুন দায়িত্ব পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জাতীয় দলে অভিষেকের সময় অধিনায়ক ছিলেন মুশফিকুর রহিম। এরপর ধাপে ধাপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন দলের নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার হিসেবে। এবার তাকে এক বছরের জন্য ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
আজ শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বসেন নতুন এই অধিনায়ক। সেখানেই উঠে আসে নেতৃত্ব নিয়ে তার ভাবনা। মিরাজ জানান, জাতীয় দলে অভিষেকের পর থেকে বিভিন্ন অধিনায়কের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা এখন তার জন্য বড় সহায়। বিশেষ করে মাশরাফি, সাকিব এবং তামিমের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন বলে জানান তিনি, ‘মাশরাফি ভাইয়ের অধীনেই আমার ওয়ানডে অভিষেক। এরপর সাকিব ভাই, তামিম ভাই—সবার অধীনে খেলেছি। তারা যেভাবে কঠিন সময়ে সিদ্ধান্ত নিতেন, সেটা আমার মনে গেঁথে আছে। আমি চেষ্টা করব ওই জায়গাগুলো নিজের মধ্যে কাজে লাগাতে।’
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ওয়ানডেতে সাকিবের অধীনে ৪১টি, মাশরাফির অধীনে ৩৮টি এবং তামিমের অধীনে ৩৫টি ম্যাচ খেলেছেন মিরাজ। মাঠে তাদের ঠান্ডা মাথায় চিন্তাভাবনা করা এবং কঠিন মুহূর্তে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়া—এই বিষয়গুলোই সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করেছে তাকে।
তবে শুধু মাঠে নয়, ড্রেসিংরুমেও ইতিবাচক পরিবেশ বজায় রাখতে চান মিরাজ। তার মতে, একজন নেতা হিসেবে সতীর্থদের পাশে থাকা সবচেয়ে জরুরি, ‘যখন জাতীয় দলে এসেছিলাম, বড় ভাইয়েরা যেভাবে আমাদের আগলে রেখেছিলেন, আমিও জুনিয়রদের পাশে সে ভাবেই থাকতে চাই। তারা যেন কখনো না ভাবে সে একা, বরং বুঝতে পারে—তার পাশে পুরো দল আছে।’
যুব বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করলেও জাতীয় দলে গত বছরের নভেম্বরে প্রথমবার নেতৃত্ব পান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্তর ইনজুরির কারণে। এবার পূর্ণকালীন দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। আর সেই দায়িত্ব পালনে তার মূল পাথেয় হবে—সিনিয়রদের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা ও নিজের অভিজ্ঞতা।
Discussion about this post