২০২৫-২৬ অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বড় ধরণের বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২,৪২৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন, যা গত অর্থবছরের ১,৫৮০ কোটি ৭৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেটের তুলনায় প্রায় ৮৪২ কোটি টাকা বেশি।
এবারের বাজেটে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১,৪৪০ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। পরিচালন খাতে বরাদ্দ ৯৮২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এই বাড়তি বাজেটের লক্ষ্য হলো যুবদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, আত্মকর্মসংস্থান তৈরি এবং দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক করে গড়ে তোলা।
উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ (২য় পর্ব), বিকেএসপি’র অবকাঠামো উন্নয়ন, ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, ইনডোর ও ভলিবল স্টেডিয়াম নির্মাণ, এবং তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। এছাড়া কক্সবাজারে নারীদের দক্ষতা ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশেষ প্রকল্পও রয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতায় যে সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ (২য় পর্ব) প্রকল্প, নড়াইল বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়াম ও টেবিল টেনিস ভবনের অধিকতর উন্নয়ন এবং ইনডোর স্টেডিয়াম ও ভলিবল স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প, বিকেএসপির প্রশিক্ষণ সুবিধাদির আধুনিকায়ন এবং ভৌত অবকাঠামোর সুবিধাদির উন্নয়ন প্রকল্প, দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রযুক্তি নির্ভর সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা (৩য় পর্যায়) প্রকল্প, টেকনোলজি এমপাওয়ারমেন্ট সেন্টার অন হুইলস ফর আন্ডার প্রিভিলেজড রুরাল ইয়ং পিপলস অব বাংলাদেশ (২য় পর্যায়), ফিজিবিলিটি স্টাডি ফল নিউ প্রজেক্টস অব ডিওয়াইবি, ৬৪টি জেলায় তথ্য প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, দেশের ৪৮টি জেলায় কর্মপ্রত্যাশী যুবকদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র, সাভার, ঢাকার প্রশিক্ষণ সুবিধাদি সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ, ‘লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড : ইম্প্রুভিং স্কিলস এন্ড ইকনোমিক অপরচুনিটিস ফর উইমেন এন্ড ইয়ুথ ইন কক্সবাজার’, বাংলাদেশ প্রকল্প, ইকোনোমিক এ্যাকসিলারেশন এন্ড রিজিলিয়েন্স ফর নিট, লাইফ স্কিলড এডুকেশন ইন ইয়ুথ ট্রেনিং সেন্টার অব ন্যাশনাল ইয়ুল প্ল্যাটফর্ম প্রকল্প।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতি বছর বাজেটে যে খাতসমূহে বরাদ্দ দেয়া হয়ে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বেকার যুবকদের আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উন্নয়নমূলক কাজে যুবকদের স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণে উৎসাহিতকরণ, সফল যুবকদের পুরস্কার প্রদান ও যুব সংগঠনকে অনুদান প্রদান, যুব কার্যক্রমের উপর গবেষণার ও জরিপ, জাতি গঠনমূলক কাজে যুবকদের সম্মৃক্তকরণ ও ক্ষমতায়ন, যুবকদের প্রশিক্ষণ, উন্নয়ন ও কল্যাণমুখী যাবতীয় কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও তাদের জাতীয় উন্নয়নে মূলধারার সাথে সম্পৃক্তকরণ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন অংশগ্রহণ ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান, ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রতিভা অন্বেষণ, গ্রামাঞ্চলে ক্রীড়া পরিবেশ সৃষ্টি ও দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি, বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থাকে অনুদান প্রদান ও অসচ্ছল ক্রীড়াবিদদের কল্যাণ অনুদান প্রদান ও ক্রীড়া স্থাপনা নির্মাণ, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ।
Discussion about this post