লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যর্থতার তিক্ত স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে টাইগারদের ইনিংস থেমে যায় ১৬৪ রানে, ৩৭ রানে হেরে যায় সফরকারী দল।
হারের পর ম্যাচ বিশ্লেষণে সরাসরি নিজের দলের ব্যর্থতাই তুলে ধরেছেন অধিনায়ক লিটন দাস। ম্যাচ শেষে সংক্ষিপ্ত অথচ স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, ‘পুরো ম্যাচেই আমরা বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং ভালো করিনি।’ তার এই মন্তব্যই প্রতিফলিত করে ম্যাচে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের নাজুক বাস্তবতা।
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান বড় রানের ইনিংস দাঁড় করায় ব্যাটসম্যানদের দুর্বল বোলিং এবং ক্ষেত্র রক্ষণের (ফিল্ডিংয়ের) কারণে। এরপর ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো করলেও লিটনের বিদায়ের পর ৫০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ। ম্যাচের মধ্যভাগেই হারের রেখাচিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
লিটন দাস নিজের বক্তব্যে ফিল্ডিংয়ের দুর্বলতা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, বলেন, ‘শুধু ব্যাটিং বা বোলিং নয়, ফিল্ডিংও উন্নত করতে হবে। মাঠ ছোট, উইকেট ভালো, ২০০ রান তাড়া করা সম্ভব ছিল। কিন্তু আমরা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি।’
এদিন জাকের আলীর ওপর ভরসা করেছিল দল। তবে তিনিও দায়িত্ব নিতে পারেননি। লিটনের মতে, ‘জাকের ভালো করছে, কিন্তু একজনের পক্ষে সব সম্ভব নয়। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। কেবল অনুশীলন নয়, মাঠে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়াও জরুরি।”
এদিকে ম্যাচ শেষে স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ পাকিস্তান দলের প্রশংসা করে বলেন, ‘ওদের ক্রিকেটিং শট ছিল ক্লাস। আঘা সালমান দারুণ ব্যাটিং করেছে। আমরা সেখান থেকে শিখতে পারি।’
বাংলাদেশের মূল দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান না থাকায় পেস ইউনিট ছিল দুর্বল। শরিফুল ইসলাম কিছুটা ভালো শুরু করলেও বাকিরা ছিলেন ছন্দহীন। হাসান মাহমুদ এবং তানজিম সাকিবকে পূর্ণ ৪ ওভার না করানো প্রসঙ্গে তিনি জানান, অধিনায়কের সিদ্ধান্তেই হয়তো স্পিনে ভরসা রাখা হয়েছিল, বিশেষ করে শুরুতে পিচ কিছুটা ট্যাকি হওয়ায়।
সব মিলিয়ে প্রথম ম্যাচে দুর্বল পারফরম্যান্স স্বীকার করেও ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় রয়েছে দলের মধ্যে। সিরিজে এখনও দুই ম্যাচ বাকি। লিটনের কণ্ঠে শোনা গেছে সেই প্রত্যাশার সুর, ‘আমাদের কামব্যাক করতেই হবে। ধারাবাহিকতা লাগবে। এখনও সিরিজ শেষ হয়নি।’
Discussion about this post