ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) চলতি মৌসুমে খোলস ভাঙতে সময় নিচ্ছিলেন সৌম্য সরকার। তবে সুপার লিগের তৃতীয় রাউন্ডে এসে নিজের পুরনো রূপেই ফিরলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেললেন ১১২ বলে অপরাজিত ১৫৩ রানের এক অনবদ্য ইনিংস, যা রূপগঞ্জকে এনে দিল সুপার লিগে দ্বিতীয় জয় এবং বড় ব্যবধানে আত্মবিশ্বাস ফেরানোর মুহূর্ত।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ওপেনিং জুটিতে সাইফ হাসান ও তানজিদ তামিম গড়েন ৮১ রানের ভিত্তি, দুজনই করেন সমান ৪৩ রান। এরপর সৌম্যের ইনিংস গড়ে তোলে ম্যাচের ভিত্তি। শুরুতে ধীরস্থির থাকলেও অর্ধশতক পূর্ণ করার পর বদলে যান সৌম্য। ৫৮ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে, পরের ৩৪ বলেই সেঞ্চুরি আর তারপর মাত্র ২০ বলে যোগ করেন আরও ৫৩ রান।
তাঁর ব্যাটের ইনিংসের ওপর ভর করেই ৫০ ওভার শেষে রূপগঞ্জ তোলে ৩ উইকেটে ৩৩৩ রান। আফিফ হোসেন অপরাজিত থাকেন ৪৫ বলে ৪৯ রান করে। ব্যাটিংয়ে সৌম্যের আগ্রাসন যেমন চোখে পড়েছে, বল হাতে ঠিক ততটাই চাপে পড়ে ব্যাট করতে নামে অগ্রণী ব্যাংক।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অগ্রণী ব্যাংকের শুরুটা ভালো হলেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি তারা। ওপেনিং জুটিতে আসে ৪৭ রান, কিন্তু এরপর দ্রুত দুই ওপেনারের বিদায়ে চাপে পড়ে দলটি। মাঝের ওভারে ইমরুল কায়েস (২৩) ও শুভাগত হোম (৩৯) চেষ্টা করলেও, রূপগঞ্জের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে বেশিদূর যেতে পারেননি। শেষ চেষ্টা করেছিলেন মার্শাল আইয়ুব, তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৭৪ রান, তবে সেটিও ম্যাচের ভাগ্য বদলাতে যথেষ্ট ছিল না।
অগ্রণী ব্যাংক গুটিয়ে যায় ৪৩.১ ওভারে ২৩০ রানে, ম্যাচ হারে ১০৩ রানে। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন সৌম্য সরকার, যিনি দিনের পার্থক্য গড়ে দেন একাই।
সুপার লিগের শুরুতে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে হেরে গেলেও মোহামেডানের পর এবার অগ্রণী ব্যাংককে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়াল রূপগঞ্জ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৫০ ওভারে ৩৩৩/৩ (সৌম্য সরকার ১৫৩, আফিফ ৪৯)
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৪৩.১ ওভারে ২৩০/১০ ( মার্শাল আইয়ুব ৭৪, শুভাগত ৩৯)
ফল: ১০৩ রানে জয়ী রূপগঞ্জ
ম্যাচসেরা: সৌম্য সরকার
Discussion about this post