শেষ অব্দি দুঃসংবাদটা শুনতেই হলো তাকে। হাঁটুর চোটে অস্ত্রোপচারের পথে হাঁটতে হলো ইবাদত হোসেনকে। লন্ডনে অস্ত্রোপচারই করাতে হলো বাংলাদেশের এই পেসারকে। লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেলেন ইবাদত। তার চোট মূলত হাঁটুর এসিএল-এ (এন্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট)। এটির অস্ত্রোপচার লাগলে সাধারণত ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হয়। সময় লাগে আরও বেশি। এর অর্থ বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা শেষ ইবাদতের!
হাঁটুর অবস্থা বোঝার জন্য পাঠানো হয় লন্ডনে। বুধবার সামাজিক মাধ্যমে হাসপাতালে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে ইবাদত লিখেছেন, ‘জীবনে প্রথমবার অপারেশন থিয়েটারে, সবার কাছে দোয়া চাইছি, আল্লাহ ভরসা।’
নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলার রোমাঞ্চে থাকা পেসার ইবাদত হোসেন চাইছিলেন না তার পায়ে অস্ত্রোপচার হোক। কিন্তু সেটিই হলো।
সকালে লন্ডনের ক্রমওয়েল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করেন ইবাদত। তার সঙ্গে থাকা বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘অস্ত্রোপচার করানো পর আমরা তার পুনর্বাসন পরিকল্পনা করবো। সময় লাগবে এতোটুকু বলা যাচ্ছে। হাতে যে সময় আছে তাতে কিছু করার নেই।’
ইবাদতকে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পুনর্বাসনে ভাল না করায় বাদ পড়েন। এবার বিশ্বকাপ থেকেও ছিটকে গেলেন এই পেসার। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বললেন, ‘দুর্ভাগ্য যে ইবাদত আমাদের দলের অংশ হতে পারছে না। ও আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।’
বলা দরকার, আগামী অক্টোবরের শুরুতে ভারতে শুরু ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেট।
Discussion about this post