কথায় আছে শেষ ভাল যার সব ভাল তার। সেই হিসেবে- সুসময় টাইগারদের। আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ জিতে স্বস্তির হাসি নিয়ে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এরইসঙ্গে আরেকটি ক্রিকেট মৌসুম শেষ হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের।
যদিও মৌসুমের শুরুটা ভাল ছিল না টাইগারদের। গেল বছরের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে শুরুতেই হতাশ করে দল। বাজেভাবে হারে দুটি টেস্ট। এরপর টি-টুয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হার মানে তারা। যদিও প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে ৩-০ ব্যবধানে উইনন্ডিজকে হারিয়ে দেশে ফেরেন দল।
তারপর সময়টা একেবারে মন্দ কাটেনি। এবার তো স্বস্তি নিয়েই ফিরল দল। যদিও সবাই ফেরেনি। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, তাইজুল ইসলামরা ছুটি কাটাতে থেকে গেছেন ইংল্যান্ডেই। সাকিব আল হাসান চলে যাচ্ছেন তার পরিবারের কাছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। কারণ ক্রিকেটাররা আপাতত ছুটির আমেজে।
সবকিছু ঠিক থাকলে আসছে জুনে বাংলাদেশ সফর করবে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। এই মিশনের আগে লম্বা ছুটি পেলেন সাকিব-তামিমরা। আফগানিস্তান সিরিজ দিয়ে ফের ব্যস্ততা শুরু হয়ে যাবে। এরপরই এশিয়া কাপ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ আর বিশ্বকাপ মিশন। জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত টানা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ততা। তার আগে নিজেদের চাঙ্গা করে নিতে পারবেন এই ছুটিতে!
অবশ্য পেশাদার ক্রিকেটারদের জন্য ছুটি বলে কিছু নেই। এই সময়টাতেও তাদের ভাবতে হবে ফিটনেস আর ডায়েট নিয়ে। তাদের জন্য দিক নির্দেশনাও দিয়েছে বিসিবি। সাকিবদের মতো বাংলাদেশের কোচিং স্টাফরাও ছুটি পেলেন। ইংল্যান্ড থেকে দুবাই হয়ে যে তারা ফিরে যাচ্ছেন নিজ দেশে। আড়াই সপ্তাহ ছুটি কাটিয়ে ফিরবেন ঢাকায়!
সব ঠিক থাকলে আগামী ১০ জুন আফগানিস্তান ক্রিকেট দল ঢাকা আসবে। এরপর এক টেস্ট খেলে তারা যাবে ভারতে। সেখানে মিশন শেষ করে আবারও আসবে তারা। জুলাইয়ে তিন ওয়ানডে ও দুই টি-টুয়েন্টি লড়াই টাইগারদের সঙ্গে।
Discussion about this post