সময় ফুরিয়ে গেছে-টের পাওয়া যাচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। তারপরও হার মানছিলেন না তিনি। লড়ে যাচ্ছিলেন। হয়তো আরও কিছুদিন খেলার কথাও হয়তো ভাবছিলেন। কিন্তু ব্যাটে যে রান নেই। উইকেটের পেছনেও আগের মতো সাবলীল ছিলেন না! সবশেষ এশিয়া কাপে ব্যর্থতার পসরা সাজিয়েছিলেন। ব্যর্থ দুই ম্যাচেই। তাইতো দেশে ফেরার একদিন পরই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন মুশফিকুর রহিম। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় বললেন ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা।
টি-টুয়েন্টি থেকে কিছুদিন আগেই বিশ্রামে ছিলেন তিনি। এরপর এশিয়া কাপ দিয়ে ফেরেন ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে রান পাননি। ব্যর্থ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও। লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচে ক্যাচ মিস, ক্যাচ নিয়েও রিভিউ না নিতে পারার ব্যর্থতায় তোপের মুখে ছিলেন মুশি। বুঝতে পারছিলেন-সামনে বিশ্বকাপের দল থেকে হয়তো ছেটেই ফেলা হবে তাকে।
তাইতো আগেই নিজের অবস্থান জানিয়ে দিলেন। নিজ থেকেই এ ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের অফিসিয়াল পেজে এক পোস্টে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ছাড়ার ঘোষণা দেন মুশফিক।
রোববার জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক লিখেছেন, ‘‘সবাইকে সালাম এবং শুভেচ্ছা। দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারের যাত্রায় আমি আপনাদের সবাইকে পাশে পেয়েছি। ভাল এবং খারাপ দুই সময়েই আপনাদের অকুন্ঠ সমর্থন আমার প্রেরনা। টি টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে আজ আমি অবসর নিচ্ছি। তবে, বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট এবং ওয়ানডে খেলা চালিয়ে যাবো।’
মুশফিক আরও যোগ করেন, ‘আশা করছি এই দুই ফরম্যাটে আমি আরো কিছু নিয়ে আসতে পারবো দেশের জন্য। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) সহ অন্যান্য ফ্রাঞ্চাইজি লিগে আমি আমার খেলা চালিয়ে যাবো টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে। আলহামদুলিল্লাহ। সবার নিকট কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।’
আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ছাড়লেও ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট চালিয়ে যাবেন মুশফিক। সব মিলিয়ে প্রায় ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ার শেষ করলেন মুশফিক। ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনায় ২০ ওভারের ক্রিকেটে পথচলা শুরু। এই ফরম্যাটে ১০২ ম্যাচ খেলে মুশফিক করেছেন ১৫০০ রান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭২। ১৯.৪৮ গড় ও ১১৫ .০৩ স্ট্রাইক রেটে হাফ সেঞ্চুরি ৬টি।।
কিছুদিন আগেই টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ার শেষ করেছেন তামিম ইকবাল। এবার সরে দাঁড়ালেন মুশফিক। দুজনই টেস্ট ও ওয়ানডেতে খেলা চালিয়ে যাবেন।
Discussion about this post