সাকিব আল হাসান-বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা তারকা। তিনি যখন সামনে দাঁড়ান উড়ে যায় সব তর্ক-বিতর্ক। সাকিবই সেরা, তিনিই নির্ভরযোগ্য। সেটিই আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেলো। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে দেখা করে আলোচনায় বসে বিতর্কের অবসান ঘটালেন সাকিব।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত সাকিবকেই অধিনায়ক করেছে বিসিবি। এশিয়া কাপ এরপর নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ আর বিশ্বকাপ পর্যন্ত সাকিবই বনে গেলেন টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক। শনিবার এ ঘোষণা দেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
এর আগে শুক্রবার রাতে দেশে ফিরে শনিবার দুপুরে গুলশানে নাজমুল হাসানের বাসভবনে দেখা করতে যান সাকিব। যেখানে সভায় উপস্থিত ছিলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এবং দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমন।
সেই আলাপের পরই টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নাম জানাল বিসিবি। এরমধ্যে বেটিং কোম্পানির অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়ে সাকিব আলোচনায় আসেন। তবে সাকিব আলোচিত সেই চুক্তি থেকে সরে আসতেই বিসিবি তার সেরা ক্রিকেটারকে ২০ ওভারের ফরম্যাটে ফের অধিনায়ক করল।
এই মাসের শেষ দিকে এশিয়া কাপ দিয়ে শুরু হবে সাকিবের টি-টুয়েন্টি অধিনায়কত্বের নতুন অধ্যায়। এরপরই অক্টোবরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তারপর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ।
সাকিব দ্বায়িত্ব নেওয়ায় শেষ হয়ে গেল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বের অধ্যায়। বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্ব আগে থেকেই ছিলেন সাকিব। এবার টি-টুয়েন্টির নেতৃত্বে। এর আগেও এই দুই ফরম্যাটে তাকে অধিনায়ক হিসেবে দেখা গেছে। সাকিবের নেতৃত্বে টি-টুয়েন্টিতে ২১টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তাতে জয় ৭টিতে, পরাজয় ১৪টি।
টি-টুয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৪৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জিতিয়েছেন ১৬ ম্যাচে। মাশরাফি বিন মুর্তজা ২৮ ম্যাচে জয় এনে দেন ১০টিতে। মুশফিকুর রহিম ২৩ ম্যাচে ৮ ও মোহাম্মদ আশরাফুল ১১ ম্যাচে ২ জয় এনে দেন।
Discussion about this post