সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না তার। ব্যাট হাতে একটা সময় ধারাবাহিক থাকলেও এখন উইকেটে আসা-যাওয়াতেই ব্যস্ত। শুক্রবার শেষ ঢাকা টেস্টেও তিনি ছিলেন ব্যর্থতার মিছিলে। এমন ভরাডুবিতে বেশ বিপাকে মুমিনুল হক। নিজে যেমন রানে নেই তেমনি দলটাও ঠিকঠাক পরিচালনা করতে পারছেন না। এ কারণে নেতৃত্ব হারানোর শঙ্কাতেও আছেন টেস্ট অধিনায়ক।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সদ্য শেষ ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে হেরেছে মুমিনুলের দল। এরপর থেকে ভয়াবহ চাপে তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) দুশ্চিন্তায় তাকে নিয়ে। ব্যাটে রান নেই আবার নেতৃত্বেও ফ্লপ-তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা তো থাকবেই। ঠিক এ অবস্থায় গুঞ্জন-ফের টেস্ট অধিনায়কত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে সাকিব আল হাসানকে!
মাঠে মুমিনুলের কিছু সিদ্ধান্ত দেখে বিশ্লেষকরা তার ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে ফের কথা তুললেন। শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছে টাইগাররা। একইসঙ্গে সিরিজটাও হেরেছে স্বাগতিকরা। যেখানে মুমিনুল ছিলেন সুপার ফ্লপ!
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ হারের পর মুমিনুল শুক্রবার বিকেলে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়ে রাখলেন, মুমিনুলের কি চিন্তা করছে সেটা জানার অপেক্ষায় তারা। মুমিনুল স্বেচ্ছায় নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালে এনিয়ে হয়তো স্বস্তিই পাবে বোর্ড।
নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘একজন অধিনায়ক যখন রান করতে পারে না ওর উপর চাপটা কিন্তু আরও অনেক বেশি। আমার ধারণা মুমিনুল প্রচণ্ড মানসিক চাপে আছে। আজ আমার সাথে সংক্ষিপ্ত আলাপ হয়েছে, আমি ওকে বলেছি কাল অথবা পরশু ওর সাথে বসব। একটু খোলেমেলা কথা বলে দেখি ওর মাথায় কি আছে, ও কি চিন্তা করছে এই ব্যাপার নিয়ে।’
সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার পর আচমকাই অধিনায়ক হন মুমিনুল। ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ দিয়ে হয় শুরু। যেখানে দুই টেস্টেই ইনিংস ব্যবধানে হারে দল। এরপর নেতৃত্বটা কখনোই সেভাবে উপভোগ করা হয়নি।
আর ব্যাট হাতে এখন তো দারুণ দুঃসময়। সবশেষ ১০ ইনিংসে করেছেন মাত্র ৭৪ রান। ৮ ইনিংসেই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। তিনটিতেই মেরেছেন ডাক। নাজমুল হাসান পাপন পুরো প্রসঙ্গ নিয়ে বলেন, ‘মুমিনুলের অধিনায়কত্ব নিয়ে আমরা খুব একটা চিন্তিত নই। সমস্যাটা হচ্ছে ওর ব্যাটিং নিয়ে, ও রান পাচ্ছে না। এটা তো চিন্তার বিষয়। একজন অধিনায়ক যখন রান করে না, তখন ওর কী মানসিক চাপটা পড়ে তা চিন্তা করেন। তাই আমরা এখন শুধু আশা করতে পারি যে ও তাড়াতাড়ি রানে ফিরুক।’
অধিনায়ক হওয়ার আগে মুমিনুলের ব্যাটিং গড় ছিল ৬৭ ইনিংসে ৪১.৪৮। অধিনায়ক হওয়ার পর গত ৩১ ইনিংসে গড় ২৯.৪২! ৫৩ টেস্ট ক্যারিয়ারে মোট রান ৩৫২৫। অধিনায়ক হওয়ার পর রান করেন ৯১২। তার মানে নেতৃত্ব কাবু করে ফেলছে তাকে!
Discussion about this post