আচমকা ফের উত্তাল দেশের ক্রিকেট। সপ্তাহ খানেক হলো বাংলাদেশে এসেছেন বিসিবির ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স। কিন্তু নতুন ভূমিকায় তিনি ফিরতেই অনিশ্চিত হয়ে যায় ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্সের ভাগ্য। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) এনিয়ে পরিস্কার কিছু বলছিল না। তার পথ ধরে পদত্যাগ করলেন প্রিন্স। এবার সিডন্স ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে জাতীয় দলের সঙ্গে সিডন্সের কাজ করাটাও নিশ্চিত হয়ে গেল।
যদিও বিসিবির পরিকল্পনা ছিল, প্রিন্সকে জাতীয় দল থেকে সরিয়ে হাই পারফরম্যান্স দল কিংবা বাংলাদেশ টাইগার্সের ব্যাটিং কোচ করা হবে। কিন্তু তা আর হচ্ছে না। প্রিন্স চলে যাওয়ায় সিডন্সকে নিয়ে ঝামেলা শেষ হলেও একজন কোচ ঠিকই খুঁজতে হবে।সিডন্স ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে এলেও এর আগে ২০০৭ সাল থেকে চার বছর বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্বেই ছিলেন।
এদিকে বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েবসাইট ইনডিপেন্ডেন্ট অনলাইন (আইওএল) এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদনে প্রিন্সের পদত্যাগের খবর দিয়েছে। তাদের ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়-পরিবারকে সময় দিতেই দায়িত্ব ছাড়লেন প্রিন্স। আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকবেন না তিনি। চলতি বছরের নভেম্বর অব্দি বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি ছিল তার।
আসছে মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। যেখানে থাকছেন না প্রিন্স। বাংলাদেশের কোচিং স্টাফদের মধ্যে দ্বিতীয় সদস্য হিসেবে পদত্যাগ করলেন এই প্রোটিয়া। এর আগে বোলিং কোচ ওটিস গিবসন বাংলাদেশের দায়িত্ব ছাড়েন। এখন কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের দল ইয়র্কশায়ারের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এদিকে হঠাৎ কেন সরে দাঁড়াচ্ছেন প্রিন্স? বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, প্রিন্সের পদত্যাগপ্রত আকস্মিক। গণমাধ্যমে ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা তার পদত্যাগের মেইল পেয়েছি। কারণটা পারিবারিক।’
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিন ফরম্যাটে ১১৯ ম্যাচ খেলেছেন প্রিন্স। রানকরেছেন ৪৬৮৮ রান। কোচিং লেভেল থ্রি শেষ করেছেন ৪৫ বছর বয়সী। অভিমানেই শেষ হল তার বাংলাদেশ অধ্যায়!
Discussion about this post